নিজস্ব প্রতিবেদক:

২৬ জুলাই, ২০২২ ২১:৪১

বড়লেখা সীমান্ত থেকে কৃষকের গরু নিয়ে গেল ভারতীয় নাগরিকেরা

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের কুমারশাইল সীমান্তের বাংলাদেশের অভ্যন্তর থেকে বাংলাদেশী কৃষকের গরু নিয়ে গেছে ভারতীয় নাগরিকেরা।

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) বিকেল আনুমানিক সাড়ে চারটার দিকে লাতু সীমান্তের ১৩৬৭/৫ এস পিলার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের কুমারশাইল গ্রামের সুনাম উদ্দিনের ছেলে আব্দুল কাইয়ুম লাতু সীমান্তের ১৩৬৭/৫ এস পিলার এলাকার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তার নিজের গরু চরাচ্ছিলেন। বিকেল আনুমানিক চারটা থেকে সাড়ে চারটার দিকে ৫-৬ জন ভারতীয় নাগরিক কাটাতারের বেড়া ডিঙিয়ে আব্দুল কাইয়ুমের একটি বড় ষাড় নিয়ে ভারতের দিকে রওয়না দেয়। এসময় বাধা দিতে গেলে ভারতীয় নাগরিকেরা আব্দুল কাইযুমকে মারধর করে। বিষয়টি আব্দুল কাইয়ুমের স্বজনরা উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে জানান।

ষাড়ের মালিক আব্দুল কাইয়ুম মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি জমিতে গরুকে ঘাস খাওয়াচ্ছিলাম। গরুগুলো বেঁধে রাখা ছিল। ভারতের মানুষ জঙ্গলের ভেতর দিয়া আসে। ৫-৬ জন হবে। আমার সাথে কোনো কথা না বলেই আমার বড় একটি বড় গরু (ষাড়) নিয়ে তারা ভারতের দিকে রওয়ানা দেয়। তাদের বাধা দিতে গেলে আমার মাথায় বাড়ি দেয় ও আমাকে মারপিট করে। এসময় কাটাতারের ওপারে বিএসএফের কর্মীরা ছিল। গরুটি ওপারে নিয়ে ভারতের লোকজন বিএসএফের কাছে দিয়ে যায়। কি-কারণে তারা (ভারতীয়রা) আমার গরুটি নিয়ে গেল বুঝতে পারছি না।’

আব্দুল কাইয়ুম আরও বলেন, ‘আমরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে জানাই। তিনি বিজিবিকে বলেছেন। খবর পেয়ে বিজিবি ঘটনাস্থলে আসেন। তারা বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের জন্য বলেছেন। তারা আসেনি। কাল (বুধবার) আসবে বলেছে।’

বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘বিকেলে আব্দুল কাইয়ুমের চাচা আব্দুল জলিল তাদের গরুটি নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি আমাকে জানান। আমি তাৎক্ষণিক লাতু বিজিবি ক্যাম্পের ইন-চার্জকে বিষয়টি জানাই।’

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিজিবির লাতু ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার আব্দুল খালেক মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে ৭টায় বলেন বলেন, ‘যার গরুটি নিয়েছে তিনি বাংলাদেশের ভেতরেই গরু চরাচ্ছিলেন। ওরা (ভারতীয় নাগরিকেরা) বাংলাদেশের ১০-১২ গজ অভ্যন্তরে ঢুকে গরুটি নিয়ে যায়। খবর পেয়ে আমরা বিএসএফের পোস্ট কমান্ডারকে খবর পাঠাই। তারা জানেনা বলে জানিয়েছে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত