নিজস্ব প্রতিবেদক:

২৭ জুলাই, ২০২২ ০০:৪৬

বুলবুল হত্যা: সেই ছাত্রীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিহত ছাত্র বুলবুল আহমেদের কথিত প্রেমিকাকে হলেই পেয়েছে পুলিশ। তাকে নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতরে গাজীকালুর টিলায় সোমবার সন্ধ্যায় হত্যা করা হয় বুলবুলকে। সে সময় তার সঙ্গে ছিলেন ওই তরুণী। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে নিয়ে প্রায় আধাঘণ্টা ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেছেন কর্মকর্তারা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ।

তিনি বলেন, ‘তিনি (ওই ছাত্রী) হাসপাতাল থেকে চলে আসার পর আমরা অনুসন্ধানে নামি। পরে জানতে পারি তিনি ভার্সিটির হলেই অবস্থান করছেন। এরপর তাকে নিয়ে আমরা ক্রাইম সিনে যাই। এখন তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জিম্মায় আছেন।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন বুলবুল। আর ওই তরুণী পড়েন বাংলা বিভাগে।

জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খান এর আগে জানান, বুলবুল হত্যাকাণ্ডের একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী ওই তরুণী। তার সঙ্গে বুলবুলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানা গেছে।

বুলবুল মারা যাওয়ার পর ওই ছাত্রী বারবার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছিল বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সোমবার রাতেই তাকে নগরীর মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে মঙ্গলবার বিকেলে কাউকে কিছু না জানিয়ে তিনি বের হয়ে যান বলে জানান হাসপাতালটির পরিচালক শামীম আহমেদ।

ওসি নাজমুল জানান, ওই তরুণীকে মঙ্গলবার সকালেই হাসপাতালে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

তিনি বলেন, ‘কালকের ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী ওই ছাত্রী। সকালে আমরা তাকে হাসপাতালে জিজ্ঞাসাবাদ করি। তার কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হয়েছিল। মনে হচ্ছিল, তিনি কিছু লুকাচ্ছেন। তবে অসুস্থ থাকায় তাকে বেশি জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়নি।’

বুলবুল হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনজনকে মঙ্গলবার আটক করেছে পুলিশ। আর তদন্ত কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের জানান, আটক ব্যক্তিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকার বাসিন্দা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সোমবার মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন জালালাবাদ থানায় মামলা করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত