গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি

২৩ মার্চ, ২০২৩ ২০:২৫

গোলাপগঞ্জে উপ-সহকারী কৃষি অফিসারকে অপসারণে এলাকাবাসীর আবেদন

সিলেটের গোলাপগঞ্জে উপ-সহকারী কৃষি অফিসার ইয়াসমিন সিদ্দিকাকে আমুড়া ইউনিয়ন থেকে অপসারণের জন্য আবেদন করেছেন এলাকাবাসী।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে এলাকাবাসী উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা কৃষি অফিসার বরাবরে এ আবেদন করেন।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আমরা আমুড়া ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা এবং প্রান্তিক কৃষক। বর্তমান সরকার কৃষির উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আমরা সাধারণ কৃষক সরকার থেকে সাহায্য সহযোগিতা পেলে কৃষিক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন সম্ভব। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে আমরা দরিদ্র কৃষকরা সরকার থেকে সহযোগিতা পাচ্ছি না। আমাদের ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার ইয়াসমিন সিদ্দিকা সব সময় কৃষকদের সাথে অসদাচরণ করেন। তিনি আমুড়া ইউনিয়নের আমনিয়া গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা হওয়াতে নানা রকম স্বজনপ্রীতির আশ্রয় নেন।

কৃষক ভাতা কার্ড, সরকারি, সার, বীজ আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে বিতরণ করেন। সরকার প্রদত্ত সরিষা বীজ প্রান্তিক কৃষকদের না দিয়ে ধনী শ্রেণির লোকদের মধ্যে বিতরণ করেছেন। কৃষক নয়, এমন লোককে ও সরিষা বীজ বিতরণের তথ্য পাওয়া গেছে যা আপনারা তদন্ত করলে প্রমাণিত হবে। বিগত করোনাকালে সরকার প্রদত্ত দশ হাজার টাকা করে কৃষি প্রণোদনার টাকা থেকে এক হাজার টাকা করে তিনি নিয়েছেন যার প্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ইয়াসমিন সিদ্দিকা একই এলাকার হওয়াতে সাধারণ কৃষকের সাথে প্রতিনিয়ত অসৌজন্যমূলক আচরণসহ বিভিন্ন দুর্নীতি করে আসছেন। এতে করে এলাকার স্থানীয় প্রকৃত কৃষকরা সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এমতাবস্থায় তাকে এই ইউনিয়নের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার এবং সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য এলাকাবাসী দাবি জানান।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইয়াসমিন সিদ্দিকার বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে একাধিক বার কল করেও মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মাশরেফুল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ইয়াসমিন সিদ্দিকার বিরুদ্ধে এলাকাবার একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি আমি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখছি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত