২৪ মার্চ, ২০২৩ ০৩:৫৯
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সদরের নলজুর নদীর ‘ডাকবাংলো সেতু’ ১১ মাস পর সংস্কার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) থেকে পুরোদমে এ সেতু দিয়ে ছোট ছোট যানবাহন চলাচল শুরু করেছে। গেল বছরের ১৭ এপ্রিল সেতুটি দেবে গেলে ওই সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে অবর্ণনীয় ভোগান্তিতে পড়েন স্থানীয়রা। কয়েকদিন আগে সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর থেকে কয়েকটি পাটাতন এনে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে সংস্কার কাজ করে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) কার্যালয়। গতকাল কাজ শেষ সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে, আজ শুক্রবার সদরের অপর প্রধান নলজুর নদীর গুদামের সেতুটি নতুন করে নির্মাণ কাজের জন্য ওই সেতু ভাঙার কার্যক্রম শুরু হবে। আশু দুর্ভোগ লাঘবে বিকল্প সেতু হিসেবে হেলিপ্যাড এলাকায় নতুন করে ডাইভারশন সেতু তৈরি করা হয়েছে, যেখান দিয়ে ছোট ছোট যান চলাচল শুরু হবে।
ডাকবাংলো ও ডাইভারশন সেতু দিয়ে একমুখী যানচলাচল করার জন্য স্থানীয় এলজিইডি কর্তৃপক্ষ জনসাধারণের জ্ঞাতার্থে জরুরি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অবহিত করেছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন বলেন, ‘ডাকবাংলো সেতুর ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে মেরামত সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন থেকে যান চলাচল শুরু হয়েছে। এছাড়া গুদামের সেতু নির্মাণের জন্য ভাঙার কাজ শুরু হবে আজ। জনভোগান্তির এড়াতে ডাকবাংলো ও ডাইভারশন সেতু দিয়ে একমুখী যাতায়াতের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ দুই সেতু দিয়ে সকলধরনের ভারী যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ডাকবাংলো সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিতে ছিল। ঝুঁকি নিয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের যান চলাচল করে আসছিল। গতবছর নলজুর নদীর খননকালে সেতুর নিচ থেকে মাটি উত্তোলন করায় ১৭ এপ্রিল রাতে সেতুটি দেবে পড়ে। অন্যদিকে সদরের অপর ঝুঁকিপূর্ণ গুদামের সেতু নতুন করে নির্মাণের ভাঙার কাজ শুরু হবে।
সেতুটি ঢাকার রাজধানী হাতিরঝিল সেতুর আদলে এলজিইডির তত্ত্বাবধানে ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কিশোরগঞ্জের মেসার্স ভাটিবাংলা এন্টারপ্রাইজ সেতু নির্মাণ কাজ করবে। সেতুটি হবে ৬০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১১ দশমিক ২৫ মিটার প্রস্থের। সেতুর দুই পাশে ফুটপাত থাকবে। রাতে সেতু ও সেতুর আশপাশের এলাকা আলোকিত করে রাখতে বিশেষ লাইটিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে।
আপনার মন্তব্য