শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি

২৬ নভেম্বর, ২০২৩ ২২:২৯

সোমবার মহারাসলীলা উৎসব, উৎসবের আমেজ

দুপুর গড়িয়ে বিকেল হচ্ছে। মণিপুরি-অধ্যুষিত গ্রাম ও পাড়াগুলোতে বইছে উৎসবের হাওয়া। মৃদঙ্গের তালে মণিপুরি গানে সুর তুলছেন কয়েকজন। চলছে নাচের প্রস্তুতি। সেখানে গোষ্ঠলীলা বা রাখালনৃত্য এবং রাসনৃত্যের মহড়া করা হবে।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) মণিপুরিদের সবচেয়ে বড় উৎসব মহারাসপূর্ণিমা সামনে রেখে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মাধবপুর ও আদমপুর এলাকায় প্রস্তুত হচ্ছেন মণিপুরি নৃত্যশিল্পীরা। অন্য বছরের মতো এবারও এই উপজেলায় মণিপুরিদের পৃথক দুটি গ্রামে আয়োজন করা হয়েছে রাস উৎসবের। উপজেলার মাধবপুরের জোড়া মণ্ডপে বিষ্ণুপ্রিয়া (মণিপুরি) সম্প্রদায়ের ১৮১তম এবং আদমপুর মণিপুরি কালচারাল কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে মেইতিই (মণিপুরি) সম্প্রদায়ের ৩৮তম মহারাস উৎসব হবে এবার।

এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মণিপুরের রাজা ভাগ্যচন্দ্র মণিপুরে প্রথম এই রাসমেলা প্রবর্তন করেছিলেন। মণিপুরের বাইরে ১৮৪২ সালে কমলগঞ্জের মাধবপুরে প্রথম মহারাস উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। রাস উৎসবে সকালে ‘গোষ্ঠলীলা’ বা ‘রাখালনৃত্য’ হয়। গোধূলি পর্যন্ত চলে এই রাখালনৃত্য। রাত সাড়ে ১১টা থেকে শুরু হয় রাস উৎসবের মূল পর্ব শ্রীশ্রীকৃষ্ণের মহারাসলীলা অনুসরণ। মণিপুরিদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্যের পোশাকে নেচে-গেয়ে কৃষ্ণবন্দনায় ভোর পর্যন্ত চলে রাসলীলা। রাসনৃত্যে শ্রীকৃষ্ণ, রাধা ও প্রায় ৫০ জন গোপী থাকেন। গোপীর সংখ্যা অনেক সময় কমবেশি হয়।

কমলগঞ্জের ঘোড়ামারা এলাকায় প্রায় ২০ দিন ধরে রাস উৎসবের মহড়া চলছে।  রোববার সেখানে গিয়ে দেখা যায়, মহড়ায় আসা মণিপুরি ছেলেমেয়েদের রাসনৃত্যের বিভিন্ন কৌশল ও নিয়মকানুন শিখিয়ে দিচ্ছিলেন রাসনৃত্যের প্রশিক্ষকেরা। ২০ জন ছেলেমেয়ে নাচ শিখছিলেন সেখানে।

মাধবপুর মণিপুরি মহারাসলীলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্মল এস পলাশ বলেন, মাধবপুরে তিনটি মণ্ডপে পৃথক রাসলীলা উৎসন হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত