২৭ নভেম্বর, ২০২৩ ২২:৩০
সিলেট-২ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে মকসুদ ইবনে আজিজ লামা। মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়া।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত জাতীয় পার্ট চেয়ারম্যান কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন মুজিবুল হক চুন্নু।
এতে সিলেটের বিভাগের ১৯ আসনের মধ্যে ১৫ টি আসনে পার্থী চুড়ান্ত করেছে দলটি। এসব আসনে মনোনীত প্রার্থীর নাম ঘোষাণা করেছেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
জাতীয় পার্টির যুগ্ন মহাসচিব ২০১৩ সালের নির্বাচনে এ আসন থেকে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সেবার ওই আসনে আওয়ামী লীগ থেকে প্রথমে মনোনয়ন পান শফিকুর রহমান চৌধুরী। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে মহাজোটের সমীকরণের হিসেবে এসে এই আসন জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। দলের অনুরোধে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন শফিকুর রহমান। আর মহাজোটের প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করেন জাতীয় পার্টির নেতা ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়া। ২০১৮ সালের সর্বশেষ নির্বাচনেও মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এহিয়া। যদি গণফোরামের প্রার্থী মোকাব্বির খানের কাছে হেরে যান তিনি। আর মনোনয়ন বঞ্চিত হন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান।
এবারও মহাজোটের মারপ্যচে এই আসন জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়া হয় কী না তা নিয়ে আলোচনা ছিলো। এমন শঙ্কা থেকে আগেভাগেই স্থানীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এবার নিজ দলীয় প্রার্থী দেওয়ার দাবি জানানো হচ্ছিলো।
তবু আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা শঙ্কায় ছিলেন এবারও আগের দুই বারের মতো আওয়ামী লীগের নেতাদের বঞ্চিত হতে হয় কী না। জোটগতভাবে ভোট হলে এবারও জাতীয় পার্টির এহিয়াকে ছাড় দেয়া হতে পারে বলেও গুঞ্জন ছিলো। তবে এবার দলীয় মনোনয়নই পাননি এহিয়া। অপরদিকে আওয়ামী লীগ থেকে এ আসনে শফিকুর রহমান চৌধুরীকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়া জাতীয় পার্টিতে রওশনপন্থী হিসেবে পরিচিত। দলে চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সাথে দ্বন্দ্বে এবার দলীয় মনোনয়ই কেনেননি সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ। আর রওশনপন্থী কাউকেই মনোনয়ন দেয়নি জাতীয় পার্টি।
গত সিলেট সিটি নির্বাচনেও একবার দলে শাস্তির মুখে পড়েছিলেন ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়া। সে নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালানোয় যুগ্ন মহাসচিবের পদ থেকে তাকে বহিস্কার করে জাতীয় পার্টি। পরে অবশ্য এ বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
আপনার মন্তব্য