বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি

১১ মার্চ, ২০২৪ ২১:২৪

২৪ বছর পর বিয়ানীবাজার উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা

দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান শেষে বিয়ানীবাজার ছাত্রলীগের ৩টি ইউনিটের কমিটি ঘোষণা করেছে সিলেট জেলা ছাত্রলীগ।

সোমবার বিকেলে বিয়ানীবাজার উপজেলা, সরকারি কলেজ ও পৌরসভা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণায় বিয়ানীবাজার ছাত্রলীগের মাঝে বইছে আনন্দ বন্যা।

বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল আহমদ শিপু ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম তাহমিদ, পৌর ছাত্রলীগের আশরাফুল আলম সাকেলকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক রেদওয়ান আহমদ এবং কলেজ ছাত্রলীগে কামরুল আহমদ সভাপতি ও রাসেল রহমান রুমিকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়।

বিভিন্ন নেতার ছত্র ছায়ায় বেড়ে ওঠা দীর্ঘ দিন থেকে নেতৃত্ব শূন্য বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্রলীগ গত এক যুগ ধরে ৭ টি গ্রুপে বিভক্ত।

বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে গ্রুপে উপগ্রুপে বিভক্ত ছাত্রলীগে দীর্ঘ দুই দশক পর এসেছে নতুন নেতৃত্ব। ছাত্রলীগ উপজেলার নতুন দায়িত্বশীলদের কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। বিশেষ করে পদপদবী বঞ্চিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে এক প্লাটফর্মে রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা দুঃস্বাধ্য হবে।

বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্রলীগের জুয়েল আহমদ শিপুকে সভাপতি ‍ও জাহিদুল হক তাহমিদকে সাধারণ সম্পাদক করে ৮১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করে জেলা ছাত্রলীগ। বিকাল ৩টা ৩৫ মিনিটে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ নিজের ফেসবুক ওয়ালে উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি পোস্ট করেন।

বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর ছাত্রলীগ পাবেল ও ছাত্রলীগ পল্লব গ্রুপের মধ্যে বইছে আনন্দের বন্যা।

বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্রলীগের জুয়েল আহমদ শিপুকে সভাপতি ‍ও জাহিদুল হক তাহমিদকে সাধারণ সম্পাদক করে উপজেলা কমিটি ৮১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ও পৌর কমিটি ৭৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করে জেলা ছাত্রলীগ এবং বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।

সোমবার (১১ মার্চ)বিকেলে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ নিজের ফেসবুক ওয়ালে উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি পোস্ট করেন।

এরআগে ১৯৯১ সালে আব্দুল বারি আহবায়ক ও দেলোয়ার হোসেনকে যুগ্ম আহবায়ক করে ঘোষিত কমিটি টানা তিন বছর দায়িত্ব পালন করলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। পরবর্তীদের ১৯৯৩ সালে যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন ইংল্যান্ড পাড়ি জমালে তখন আহবায়ক কমিটি পূর্ণগঠন করা হয়। পূর্ণঘটিত কমিটিতে যুগ্ম আহবায়ক হিসাবে স্থান পান আব্দুল কুদ্দুছ টিটু, ইকবাল হোসেন ও মাহমুদ হোসেন। দীর্ঘ সাত বছরে নানা জটিলতার কারণে আহবায়ক কমিটি পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে রূপ পায়নি। পরে দেওয়ান মাকসুদুল ইসলামকে আহবায়ক ও ফারুকুল হক এবং আব্বাছ উদ্দিনকে যুগ্ম আহবায়ক করে ২০০০ সালে ঘোষণা করা হয় আহবায়ক কমিটি। ছাত্রলীগ রিভারবেল্ট ও প্রপার গ্রুপের দায়িত্বশীলরা দীর্ঘ আলোচনা পরও নানা কারণে পূর্ণাঙ্গ কমিটি পায়নি উপজেলা ছাত্রলীগ। পরবর্তীতে ২০০৩ সালে আবুল কাশেম পল্লবকে সভাপতি ও জাকির হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর এক বছর পর পুনরায় আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ২০০৪ সালে জামাল হোসেনকে আহবায়ক এবং আবুল কাশেম পল্লব ও জাকির হোসেনকে যুগ্ম আহবায়ক করে ঘটিত কমিটি পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে রূপ লাভ করেনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত