নিজস্ব প্রতিবেদক

০৬ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:৪১

ঈদে পছন্দের শীর্ষে ‘আলিয়া কাট’

ঈদে পছন্দের পোশাক কিনতে নগরীর নয়াসড়কের মাহা ফ্যাশন হাউসে ক্রেতাদের ভিড়

সিলেটে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। ঈদে পছন্দসই পোশাক কিনতে মধ্যরাত পর্যন্ত ফ্যাশন হাউস আর বিপণিবিতানগুলোতে ভিড় করছেন ক্রেতারা।

সিলেটের বিভিন্ন বিপণিবিতানে ভারতীয় ও পাকিস্তানি পোশাকের সঙ্গে সমানতালে বিক্রি হচ্ছে দেশি ব্র্যান্ডের পণ্য। নগরীর বিভিন্ন বিপণিবিতান ঘুরে এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে মিলেছে এমন চিত্র।

ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের কেনাকাটায় ক্রেতাদের মূল আকর্ষণ থাকে ভারতীয় ও পাকিস্তানি পোশাক। তবে ঈদ ঘিরে দেশের বিভিন্ন ব্র্যান্ডও নতুন ডিজাইনের পোশাক আনে। এবার বিদেশির পাশাপাশি দেশি পোশাকও ভালো বিক্রি হচ্ছে।

সিলেটের অধিকাংশ বিপণিবিতান ও ফ্যাশন হাউজ নগরীর জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, জেলরোড, নাইওরপুল, আম্বরখানা, নয়াসড়ক, কুমারপাড়া ও লামাবাজার এলাকায়। ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই ভিড় বাড়ছে এসব বিপণিবিতানে। নগরীর জিন্দাবাজার সিটি সেন্টার, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, আল হামরা শপিং সিটি, শুকরিয়া মার্কেট, সিলেট প্লাজা, লতিফ সেন্টার, মিলেনিয়াম মার্কেট, কানিজ প্লাজা, মধুবন সুপার মার্কেট, হাসান মার্কেট, কাজী ম্যানশন, শ্যামলী মার্কেটসহ বিভিন্ন বিপণিবিতানে গতকাল বৃহস্পতিবার ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।

নগরীর নয়াসড়ক ও কুমারপাড়ায় বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসের বিক্রেতারা জানান, এ বছর তরুণীদের প্রথম পছন্দ ভারতীয় আলিয়া কাট, সারারা, গারারা ও নাইরা নামের পোশাক। এ ছাড়া পাকিস্তানি কুর্তি, লেহেঙ্গা, ক্রপটপ গাউন আর বার্বি গাউন কিনছেন অনেকে। দেশি পোশাকও বিক্রি হচ্ছে অনেক।

নয়াসড়কের ফ্যাশন হাউস মাহায় গিয়ে দেখা যায়, বেশির ভাগ তরুণী নিচ্ছেন আলিয়া কাট। এ ছাড়া সারারা ও গারারাও আছে অনেকের হাতে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক আব্দুল কাদির জানান, তাদের দোকানের বেশির ভাগ পণ্য দেশের বাইরের। এর বাইরে দেশি পোশাকও ভালোই চলছে।

পাশের ফ্যাশন হাউস কমলা ভান্ডারে গিয়ে দেখা যায়, বিক্রয়কর্মীরা সবাই ব্যস্ত। এখানেও বেশির ভাগ তরুণী নিচ্ছেন আলিয়া কাট। দেশি পোশাকও নিচ্ছেন অনেকে।

প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক সেলিনা আক্তার বলেন, ঈদে নতুন ডিজাইনের অনেক ধরনের পোশাক আসে। দেশি ব্র্যান্ডগুলোও এ সময় বিশেষ ডিজাইনের পোশাক আনে। এ কারণে অনেকে দেশি পোশাক কিনেন।

এদিকে সিলেটে ঈদের কেনাকাটায় গত কয়েকদিন ভালোমতোই বাগড়া দিয়েছে বৃষ্টি। ব্যবসায়ীরা জানান, নগরবাসী মূলত কেনাকাটা করতে বের হন সন্ধ্যায়। তবে চার দিন ধরেই রাত ১০টার দিকে বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশ কালো হয়ে বজ্রপাত হচ্ছে। এরপর নামছে বৃষ্টি। এতে বেচাবিক্রি কিছুটা কম হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত