সিলেটে নানা আয়োজন পালিতে হয়েছে মেডিকেল কলেজ (বর্তমান শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল) গণহত্যা দিবস। দিবসটি উপলক্ষ্যে নাগরিক মৈত্রীর আয়োজনে সকালে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে একটি র‍্যালি বের হয়ে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে গিয়ে শেষ হয়।

পরে সেখানে সিটি করপোরেশন, শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল, কিডনি ফাউন্ডেশন, ধরীত্রি রক্ষা আন্দোলন, পরিবেশ ও ঐতিহ্য রক্ষা ট্রাস্ট, ছাত্র ইউনিয়ন, যুব ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা এবং নাগরিক মৈত্রীর উদ্যাগে ৯ এপ্রিলের গণহত্যা নিয়ে তৈরী প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করা হয়৷

পরে নাগরিক মৈত্রীর আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সমর বিজয় সী শেখরের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন ও উপস্থিত ছিলেন-  বীর মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রফিকুল হক, বিএমএ এর কেন্দ্রীয় মহাসচিব ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া,  নর্থইস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস, কবি ও লোক সংস্কৃতি গবেষক অধ্যাপক ড.আবুল ফতেহ ফাত্তাহ, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকট এমাদউল্লাহ শহীদুল ইসলাম শাহীন,  বিএমএ সিলেটের সভাপতি ডাঃ মো. রুকনউদ্দীন আহমদ, পরিবেশ ঐতিহ্য সংরক্ষণ ট্রাস্টের সভাপতি ডাঃ মোস্তফা শাহজামান চৌধুরী বাহার, শাবিপ্রবি সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ফারুক উদ্দিন, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জেষ্ঠ্য সাংবাদিক আল আজাদ, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাসন, প্রবাসী কমিউনিটি নেতা স্বরুপ শ্যাম চৌধুরী,  সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব সৈয়দ মনির হেলাল, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুল করিম কীম, শহিদ পরিবারের সদস্য ফরিদা নাসরীন, সমাজকর্মী রোমেনা বেগম রুজি, রেজাউল কিবরিয়া চৌধুরী লিমন, রাজনৈতিক সংগঠক এডভোকেট গোলাম সোবহান চৌধুরী দীপন, আকবেট সিলেটের নির্বাহী পরিচালক আসাদুজ্জামান সায়েম, প্রভাষক রাজীব দে চৌধুরী, এডভোকেট মোহাম্মদ মনির উদ্দিন, এডভোকেট মোস্তাকিম আহম্মদ কাওছার, কর আইনজীবী মো. জহিরুল ইসলাম রিপন, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন সিলেট কমিটির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান,  প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক শুভ্র দে, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলা সংসদের অভ্রভেদী সন্দীপ, শ্রাবন দাস, কবি মিজবা জামিলসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

এ সময় বক্তারা বলেন, কর্তব্যরত অবস্থায় এভাবে হত্যাকাণ্ড নজিরবিহীন। ডা. শামসুদ্দিন আহমদ, লালাসহ সকলের আত্মত্যাগে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি।স্বাধীনতার অর্ধশতক পার হলেও এই হত্যাকান্ডের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি৷ যা আমাদের জন্য লজ্জার। অবিলম্বে তাই এই হত্যাকান্ডের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে হবে৷