জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া,তাহিরপুর(সুনামগঞ্জ)

১৫ ফেব্রুয়ারি , ২০১৫ ১৮:৫২

সুনামগঞ্জে সুরমা সেতু নির্মানে ধীর গতি

চারটি উপজেলার হাজার হাজার জনসাধারনের দূর্ভোগ

দেশের উত্তর-পূর্ব দিকের শেষ সীমান্তের এক অবহেলিত জনপদের নাম সুনামগঞ্জ জেলা। সম্পদ,সৌন্দর্য ও অথনৈতিক দিক দিয়ে সমৃদ্ধ থাকলেও উন্নয়নের ছোঁয়া পড়ে নি আজও হাওর বাসীর। শুধু অহবেলা,প্রত্যাশা ও প্রতিশ্রুতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে সুনামগঞ্জের উন্নয়ন। একটি মাত্র ব্রীজের কারনে জেলার সদরের সাথে ভাল যোগাযোগ ব্যবস্থা হচ্ছে না ৪টি (তাহিরপুর,বিশ্বাম্ভরপুর,জামালগঞ্জ,মধ্যনগড়,ধর্মপাশা ) উপজেলা বাসী। যার ফলে ক্ষুব বিরাজ করছে ৮ লক্ষাধিক জনসাধারনের মাঝে। সুনামগঞ্জের সুরমা নদীতে ৮বছর পেরিয়ে গেলেও ব্রীজের নির্মান কাজ শেষ হয় নি। এ নদীতে ব্রীজের কাজ সম্পন্ন হলে জেলা সদর থেকে সরা সরি সড়ক পথে বিশ্বাম্ভরপুর,জামালগঞ্জ,তাহিরপুর হয়ে মধ্যনগড়,ধর্মপাশা উপজেলা বাসীর মাঝে উন্নয়নের এক প্রকার জুয়ার বইবে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উপড় নির্ভর করে একটি এলাকা,একটি সমাজের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির প্রতিপলন গঠে। এই ব্রীজ টির উপর নির্ভর করছে হাজার হাজার জনসাধারনের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন। তাই সুরমা নদীর উপর নির্মানাধীন ব্রীজ টি দ্রুত শেষ করার দাবী জানান সুনামগঞ্জ জেলা বাসী।

সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগ সুত্রে জানাযায়-২০০৫ সারে ১অক্টোবর সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর উপর সেতু নির্মানে ২ কোটি ৫৯লাখ ৬০হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। বরাদ্দের পর ২০০৬-৭ অর্থ বছরে সুনামগঞ্জ শহর সংলগ্ন মল্লিকপুর এলাকায় ১১৫ মিটার দৈঘ্য বিশিষ্ট সুরমা সেতুর কাজ শুরু করা হয়।

অর্থ সংকটের অজুহাতে ৩বছর নির্মান কাজ বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে সুনামগঞ্জের দু-এমপি ও জেলার সর্ব স্তরের জনমাধারনের দাবীর মুখে আবারো এডিপিতে সুরমা সেতু প্রকল্পটি অর্šÍভুক্ত করা হয়। এর ব্যয় ধরা হয় ৬৪কোটি ৫৪ লাখ টাকা। বলাদ্দের পর একধিক ঠিকাদারী প্রতিষ্টান ৬বছরে সেতুর পাইলিং ও দু পাশের সংযোগ মাটির কাজ শেষ করে। বাকি থাকে সেতুর মাঝের সংযোগ। এই সংযোগ দিতে চলা নানা টালবাহানা। সেতুর মাঝ অংশের সংযোগ দিতে ও সুরমা নদীর তে ব্রীজের কাজ দ্রুত শেষ করে চলতি বছরের মার্চ মাসে যানবাহন চলাচল ও সর্ব স্তরের জনসাধারনের জন্য উন্মুক্ত করার ঘোষনা দেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধান মন্ত্রীর ঘোষনার পরও টনক নড়ছে না কতৃপক্ষের দ্বীর গতিতেই চলছে নিমার্ন কাজ। চীন থেকে ষ্ঠিল ট্রাসগুলো ও প্রয়োজনীয় নির্মান সামগ্রী নিয়ে আসলেও সেতুর মাঝের সংযোগ দিতে সেতু নিমানের কতৃপক্ষের গাফিলতি ও অবহেলার কারনে এ বছরও হবে না বলে মনে করছেন জেলা সদরে আসা বিভিন্ন স্থরের জনসাধারন। আর সে কারনে ফুসেঁ উঠছে চারটি উপজেলা বাসী ও সুনামগঞ্জ জেলা বাসী। তাহিরপুর,বিশ্বাম্ভরপুর,জামালগঞ্জ সহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে জেলা সদরে আসা লোকজন বলেনÑআমরা জনসাধরনের সুযোগ-সুবিধার কথা কেউ ভাবছে না। প্রধান মন্ত্রী বলে মার্চের মধ্যে শেষ করার জন্য আর নিমার্ন কতৃপক্ষ ও সংশিষ্ট কতৃপক্ষ বলে ভিন্ন কথা,আমরা এখন ফাটা বাঁশের চিপায় পড়ে আছি। আর শুষ্ক মৌসুমে নিমার্ন কাজ শেষ করতে না পারলে বর্ষায় পাহাড়ী ডলে পানির চাপের কারনে কাজ করতে পারবে না।

জেএন (জেভি) নির্মাতা প্রতিষ্টিান মালিক ণুৎফুর রহমান জানান- সেতু নির্মানের মালামাল বেশ কিছু দিন আগেই আনা হয়েছে। নির্মান কাজ শেষ করতে আরো ৫-৬মাস সময় লাগবে। সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপদ (সওজ) এর উপ সহকারী প্রকৌশলী মহসিন আহমেদ জানান-আগামী জুন মাসের মধ্যে সুনামগঞ্জের সুরমা সেতুর কাজ সম্পূর্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত