তাহিরপুর প্রতিনিধি

১১ মার্চ, ২০১৬ ১৭:৪২

তাহিরপুরে ব্রিজ ভেঙ্গে রড,পাথর বিক্রি: ইউএনও’র বরাবর অভিযোগ

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে এলজিইডির সম্পূর্ন ব্রিজ ভেঙ্গে ফেলে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার রড ও পাথরসহ অন্যান্য মালামাল বিক্রি করে দিয়েছে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও মেম্বার।

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে শুক্রবার তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত এমন একটি অভিযোগ করেছেন ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উত্তা লের প্রায় ৩০ টি গ্রামের মানুষে যোগাযোগের র্শাতে গত ২০১১সালে বড়দল উত্তর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চেয়ারম্যান থাকা শেষ সময়ে উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে করপুলা নামকস্থানে জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে সরকার এলজিইডির মাধ্যম্যে ২লক্ষ ৭০হাজার টাকা ব্যায়ে ওই ব্রিজটি নির্মাণ করে। কিন্তু ব্রিজটি নির্মাণের পর গত বছরে পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিতে ব্রিজের দুইপাশে মাটি সরে যায়।

ব্রীজটি শেষ হওয়ার পর পরর্বতী র্নিবাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন নির্বাচিত হওয়ার পর প্রায় ৬ বছর অতিবাহিত হলেও ওই ব্রিজের এপ্রোচের দুইপাশে মাটি ভরাট না করে,তারই পরিষদের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য চাঁন মিয়াকে দিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী যোগসাজসে ব্রিজটি ভেঙ্গে ওই ব্রীজের রড ও পাথরসহ অন্যান্য মালামাল কোন রকম নীলাম না দিয়ে মেম্বারের নিজের বাড়িতে বিক্রি করে দেয় বলে এমন একটি অভিযোগ করে।

এই বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে সমালোচনার ঝড় উঠে। এঘটনার প্রেক্ষিতে উত্তর বড়দল ইউনিয়নবাসীর পক্ষে সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য চান মিয়া বলেন,আমি চেয়ারম্যান ও থানা ইঞ্জিনিয়ারের অনুমতি নিয়ে ব্রিজ ভেঙ্গে রড আমার বাড়িতে নিয়ে গেছি। এই ইউনিয়নের চরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মাওলানা কাশেম বলেন,করপুলা নামকস্থানের জন গুরুত্বপূর্ণ সম্পূর্ণ ভাল একটি ব্রিজ নিজেদের স্বার্থের জন্য ভেঙ্গে ফেলা ঠিক হয়নি। সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন,এধরণের অনিয়ম ও দূর্নীতির দৃষ্টান্ত মূলক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

এ ব্যপারে বড়দল উত্তর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ সভাপতি জমির উদ্দিন তালুকদার বলেন, ওই ব্রীজটির মেয়াদ না শেষ হওয়া র্শতেও ব্রীজটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এটা ঠিকনা! যেখানে ব্রীজের দুই পাশে শুধূ মাটি ভরাট করলেই চলত।সেখানে নিজেদের মন গরামত ব্রীজটি ভেঙ্গে সরকারের র্অথ নষ্ট করা ঠিক না।

বর্তমান চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন বলেন,নতুন ব্রিজ নির্মাণের জন্য পুরনো ব্রিজ ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। তাহিরপুর উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ ব্রিজটি ভেঙ্গে ফেলার সত্যতা স্বীকার করে এব্যাপারে পত্রিকায় সংবাদ না করার জন্য অনুরোধ করেন।

তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন,ব্রিজ ভেঙ্গে মালামাল বিক্রি ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি,এব্যাপারে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত