নিজস্ব প্রতিবেদক

০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১৯:২১

৭ দিন সময় পেলো তদন্ত কমিটি

ইসকন মন্দিরে হামলা-সংঘর্ষ

শুক্রবার দুপুরে নগরীর কাজলশাহে ইসকন মন্দিরে হামলা ও দু'পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় গঠিত তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার ব্যাপারে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের চিহ্নিত না করা পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে আটক ২৯ জনকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, শুক্রবার দুপুরের ঘটনায় সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত মিটিংয়ে ইসকন মন্দিরে ঘটা ঘটনা তদন্তে সিলেট জেলা অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ আমিনুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (উত্তর) রহমত উল্লাহ ও জ্যেষ্ঠ সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা।

তিনি বলেন, তদন্ত কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে ঘটনার তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।

এদিকে, হামলার সময় ঘটনাস্থল থেকে আটক ২৯ জনকে শুক্রবার রাতেই ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (উত্তর) রহমত উল্লাহ।

শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজ শেষে নগরীর কাজলশাহে স্থানীয় একদল লোক ‘আন্তর্জাতিক শ্রীকৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ’ (ইসকন) পরিচালিত যুগলটিলা মন্দির লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পরে মন্দির থেকেও হামলাকারীদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোঁড়া হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, শুক্রবার জুমার নামাজের সময় ইসকন মন্দিরে উচ্চস্বরে কীর্তন-ভজন বাজানোয় ক্ষিপ্ত হয়ে কিছু মুসল্লিরা ইসকনে হামলা চালায়। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইসকন সিলেটের অধ্যক্ষ শ্রীপাদ নবদ্বীপ দ্বিজ গৌরাঙ্গ দাস ব্রহ্মচারী।

শুক্রবার বিকেলে তিনি সিলেটটুডে টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শুক্রবার নামাজের পর সাধারণ মুসল্লিদের ক্ষেপিয়ে তুলে মন্দিরে এ হামলার ঘটনা চালিয়েছেন এলাকার কিছু দৃষ্কৃতিকারীরা যারা মন্দিরের ৮৪ শতক জায়গা দীর্ঘদিন ধরে দখল করে আছেন”।

“মন্দিরের পশ্চিম দিকে এ ৮৪ শতক জায়গায় ৩৬ টি দোকান তুলে দীর্ঘদিন আগে থেকে ভোগদখল করছেন স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীরা। সম্প্রতি উচ্চ আদালত থেকে এ জায়গার মালিকানা ইসকনের নামে প্রদান করা হয় তবে ইসকন এখনো এ সকল জায়গা দখলে নিতে পারেনি। দখল হারাবার ভয়েই তারা সাধারণ মুসল্লিদের উত্তেজিত করে এ হামলা চালান”।

এ ঘটনায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মহিলা কাউন্সিলরসহ মোট ৭ জন আহত হন।

আহতদের একজন ভাতালিয়া এলাকার বাসিন্দা বাবুল আহমদ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, নামাজ চলাকালীন সময়েও ইসকন মন্দিরে বাদ্যযন্ত্র বাজছিলো। নামাজ শেষে মসজিদ দেখে বের হয়ে দেখি কয়েকজন লোক মন্দির লক্ষ্য করে ঢিল ছুঁড়ছে। এর কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে নির্বিচারে গুলি ছোঁড়া শুরু করে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত