নিজস্ব প্রতিবেদক

০৪ অক্টোবর, ২০১৬ ১৪:০৯

খাদিজার রক্তে ভেসে যায় ইমরানের গা, মানবিকতা!

সিলেট সরকারী মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা আক্তারকে এমসি কলেজের ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করার পর অন্যে অনেকের সঙ্গে আহতকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন কজন তরুণ। তাঁদের মধ্যে ছিলেন এম.এ. কবির ইমরান।

রক্তাক্ত খাদিজাকে যখন তারা নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন রক্তে ভেসে যাচ্ছিল ইমরানের সারা গা, তবু সে দিকে তাঁর ভ্রূক্ষেপ নেই।

ইমরানরা খাদিজাকে প্রথমে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে রাতে খাদিজাকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

সিলেট সরকারী কলেজ থেকে সদ্য এইচএসসি পাস করা ইমরান সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "ওই সময় আমি এমসি কলেজে ক্যাম্পাসেই  ছিলাম। দূর থেকে হইচই শোনে এগিয়ে এসে দেখি এক মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। আশেপাশে কেউ নেই। আমি তাকে তোলে অন্যদের সাহায্য করার জন্য ডাকি। "

‘‘কলেজ কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্যের সহায়তায় আমরা মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসি।’’

উল্লেখ্য, সোমবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে খাদিজা আক্তারকে চাপাতি দিয়ে কোপায় বদরুল আলম নামের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) এক ছাত্র। বদরুল শাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সিলেট সদর উপজেলার মোগলগাঁও ইউনিয়নের হাউসা গ্রামের মাসুক মিয়ার মেয়ে খাদিজা আক্তার নার্গিসের বাড়িতে লজিং থাকত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) অর্থনীতি বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম। সেখানে থাকাকালে মেয়েটির কাছে প্রেম নিবেদন করে সে। নার্গিস বারবার প্রত্যাখ্যান করে। সোমবার বিকেলে পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পর এমসি কলেজ মসজিদের পেছনে শিক্ষার্থীদের সামনে চাপাতি দিয়ে কোপাতে থাকে বদরুল। প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন নার্গিসের চিৎকার শুনে এগিয়ে যায়। তারা নার্গিসকে সংকটাপন্ন অবস্থায় উদ্ধার করে এবং বদরুলকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দেয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত