বানিয়াচং প্রতিনিধি

২৭ অক্টোবর, ২০১৬ ১৮:০৮

বানিয়াচংয়ে কয়েন নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষেরা

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিপত্র জারি থাকা সত্ত্বেও বানিয়াচং উপজেলার ব্যাংকগুলোতে ধাতব মুদ্রা (কয়েন) গ্রহণ না করায় ব্যবসায়ীরা হাজার হাজার টাকার ধাতব মুদ্রা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।

সবচেয়ে বেশী বেকায়দায় পড়েছেন বেকারি ও টং দোকানের ব্যবসায়ীরা। এসব ব্যবাসায়ীর হাতে হাজার হাজার কয়েন পড়ে থাকায় ইতিমধ্যে লোকসানের মুখে পড়তে যাচ্ছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।

উপজেলার গ্যানিংগঞ্জ বাজার, বড়বাজার, আদর্শবাজার, ৫-৬নং বাজারে অবস্থিত বিভিন্ন দোকানে গিয়ে দেখা যায়, তাদের কাছে দীর্ঘদিন ধরে ছোটবড় পুটলি আকারে মজুদ রয়েছে। সেই কারণে মুল পুঁজি হারিয়ে ব্যবসা চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।

এ ব্যাপারে বানিয়াচং গ্যানিংগঞ্জ বাজারের মেঘনা বেকারির মালিক মোস্তাক মিয়া জানান, অনেক চেষ্টা করেও আমরা কাস্টমারকে কয়েন দিতে পারছিনা। তারা কিছুতেই এসব নিতে চায়না। বেশী সমস্যাতে পড়ছেন টমটম চালকরা। এক বাজার থেকে অন্য বাজারে যেতে যাত্রীরা চালকদের কয়েন দিলে তারা নিতে চায়না। এসব কয়েন বাজারে চলে বলে জানিয়ে দেন যাত্রীদের। তারপর চলে যাত্রী ও চালকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা। এ রকম দৃশ্য হরহামেশাই দেখা যায় বানিয়াচংয়ের প্রতিটি রাস্তায়। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রীরাও।

বানিয়াচং গ্যানিংগঞ্জ বাজারের মুদি ব্যবসায়ী অন্তু স্টোর, গোবিন্দ স্টোর, মায়েরদোয়া ভ্যারাইটিজ স্টোর, বাদল এন্টারপ্রাইজ, সহিবুর এন্টারপ্রাইজ, শিফন স্টোর, মুজিবুর এন্টারপ্রাইজের মালিকরা জানান,আমাদের দোকানে হাজার হাজার কয়েন পড়ে রয়েছে। কেউ নিতে চাচ্ছে না। এ অবস্থায় আমাদের মতো সাধারণ ব্যবসায়ীরা পড়েছেন মহাবিপদে।

এদিকে বেকারির শ্রমিক রুবেল মিয়া জানান, মালিকরা তাদের মাসিক বেতন টাকার সাথে কিছু কয়েনও দিয়ে দেন। ফলে এসব নিয়ে বাজারে কোন কিছু কিনতে গেলে দোকানদার জিনিস বিক্রি করতে চান না। সে কারণে তারা বাধ্য হচ্ছেন অন্য পেশায় চলে যেতে। বাজারের টং দোকানের মালিক রবিউল আলম জানান, হাজার হাজার টাকার কয়েন দোকানে পড়ে রয়েছে। কোন গ্রাহক কিংবা কোম্পানির লোকদেরকে দিতে চাইলে তারাও নিতে চায়না। এগুলো কোন ব্যাংক না নেয়ায় তিনি মহাবিপদে পড়েছেন।

এ বিষয়ে বানিয়াচং সোনালী ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক সাজিদ আলী জানান, অবশ্যই ব্যাংকে ধাতব মুদ্রা গ্রহণ করা হবে। তবে কয়েনের আদান-প্রদান ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিদ্যমান থাকলে ব্যাংকে কিছুটা হলেও চাপ কম পড়বে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত