বড়লেখা প্রতিনিধি

২৭ অক্টোবর, ২০১৬ ২২:৪৮

বড়লেখায় আসামির স্বীকারোক্তিতে আ’লীগ নেতা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা উদ্ধার

উদ্ধারকৃত দা সহ চার পুলিশ সদস্য

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার সীমন্তবর্তী উত্তর শাহবাজপুর ইউপি’র প্যানেল চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন আলমের হত্যাকারী কাজল মিয়ার রিমাণ্ডে স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৬ অক্টোবর) হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদ্ঘাটন ও ঘটনার সময় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের জন্য আসামি কাজলকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পাঁচ দিনের রিমাণ্ড চাওয়া হয়। আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) আসামির রিমাণ্ডের শেষ দিন ছিল।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বড়লেখা থানার এসআই ধ্রুবেশ চক্রবর্তী বলেন, "জিজ্ঞাসাবাদে কাজলের দেয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোররাতে আলম হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা উদ্ধার করেছে পুলিশি। উত্তর শাহবাজপুর ইউপি’র সায়পুর গ্রামের সুশীল বাবুর বাড়ির টিলার পাশের একটি ঝোঁপ থেকে দা’টি উদ্ধার করা হয়।"

থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে প্রকাশ্য দিবালোকে উপজেলার সায়পুর এলাকায় দা দিয়ে নৃশংসভাবে আলমকে কুপিয়ে হত্যা করে কাজল মিয়া। নিহত আবুল হোসেন আলম সায়পুর গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে।

এ ঘটনায় আবুল হোসেন আলমের বাবা খলিলুর রহমান ওই রাতে কাজল মিয়াকে ১ নম্বর আসামি করে ও আরো চার-পাঁচজনকে অজ্ঞাতনামা আসামী রেখে বড়লেখা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পরদিন শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভোরে খুনি কাজল ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়দের হাতে আটক হয়। পরে তাকে বড়লেখা থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সহিদুর রহমান দা উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, "হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য কাজলকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।"

আপনার মন্তব্য

আলোচিত