বড়লেখা প্রতিনিধি

২৮ অক্টোবর, ২০১৬ ২৩:২২

বড়লেখায় শিক্ষিকার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী নির্যাতনের অভিযোগ

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় জায়েদা বেগম নামের এক স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের নির্যাতনসহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের। অভিযুক্ত জায়েদা বেগম পৌরসভার গাজিটেকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা।

এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্তের জন্য প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার গাজিটেকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জায়েদা বেগম দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নির্যাতন ও ক্লাসে তাদের সাথে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আসছেন। এতে করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় ব্যাঘাতের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়বিমুখ হয়ে পড়েছে।


সম্প্রতি বিজিতা নামের ৩য় শ্রেণীর এক ছাত্রীকে পড়া না পারার কারণে প্রধান শিক্ষিকা জাহেদা বেগম বেত্রাঘাত করেন। এতে ওই শিক্ষার্থী এক হাতে গুরুতর আঘাত পায়। ঘটনার পরদিন বিজিতার বাবা মেয়েকে মারধরের বিষয়টি স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আব্দুল মুহিতকে অবগত করেন।


এদিকে চলতি বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় বিদ্যালয়ের ৩৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে কেউই আশানুরূপ ফলাফল অর্জন করতে না পারায় অভিভবাকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অভিভাবকারা ফলাফল বিপর্যয়ের জন্য প্রধান শিক্ষিকার উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন।

বাবুল আহমদ নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘২০১২ সালে স্কুলে আলিম উদ্দিন স্যার প্রধান শিক্ষক থাকার সময় লেখাপড়া ভালো হতো। কিন্তু প্রধান শিক্ষিকা জায়েদা বেগম স্কুলে আসার পর থেকে শিক্ষাব্যবস্থা মুখ তুবড়ে পড়েছে।’

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষিকা জায়েদা বেগম তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে এলাকার একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে।’

ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অরবিন্দ কর্মকার গাজিটেকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জায়েদা বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চত করে বলেন, ‘বিষয়টি তদন্তের জন্য প্রক্রিয়াধীন।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত