
০৮ মে, ২০১৫ ২১:০৬
কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই নির্দেশকের ইশারায় হঠাৎ নিভে গেল সিলেট নজরুল অডিটোরিয়ামের সব আলো। পুরো হল জুড়ে পিনপতন নীলবতা। এক'দু করে প্রায় ২৫ সেকেন্ড পর অন্ধকার ভেদ করে ফের আলোকিত হল অডিটোরিয়াম। আলো জ্বলে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সবার মুখে ফুটে উঠল হাসি। তখনই উপস্থাপক বলে উঠলেন ‘স্মাইল’ তখন আর কারো বুঝতে বাকি রইলনা এটি বিদ্যুৎ বিভ্রাট নয়। ‘সকলের মুখে, থাকুক হাসি’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে শুক্রবার থেকে সিলেটে শুরু হয়েছে দুদিনব্যাপী ডিস্ট্রিক্ট রোটারেক্ট কনফারেন্সের ‘স্মাইল- ২০১৫’।
সকাল সাড়ে ৯ টার মধ্যেই সম্পন্ন রেজিস্টেশন প্রক্রিয়া। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কনফারেন্সে যোগ দেন প্রায় ৬’শ রোটারেক্টর।
কনফারেন্সে প্রধান অতিথি ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ড. কাজী রেজা-উল হক। ডিস্ট্রিক্ট রোটারেক্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ (ডিআরআর) অ্যাডভোকেট হোসাইন আহমদ শিপনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী এমপি, রোটারিয়ান ডা. মঞ্জুরুল হক চৌধুরী, রোটারিয়ান ইঞ্জিনিয়ার এমএ লতিফ, এবিএম ওয়াদুদ উল্লাহ, সুফি মো. মিজানুর রহমান, শহীদ আহমদ চৌধুরী, এমএ আউয়াল, আব্দুল আহাদ, মুফতি শামীম আহমদ, মির নাজমুল আহসান রবিন, কামরুজ্জামান চৌধুরী রোম্মান, মোস্তফা আশরাফুল ইসলাম আলভি, কয়েস আহমদ সুমন প্রমূখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, রোটারেক্টররা প্রত্যেকেই আলোর পথযাত্রী। তাদের মধ্যে আলাদা একটি শক্তি আছে। তারা চাইলে যেকোন অসাধ্যকে সাধ্য করতে পারবে। যেভাবে রোটারিয়ানরা সারা বিশ্ব থেকে নির্মূল করেছেন পোলিও। আমাদের দেশের সকল রোটারেক্টর এক হলে, করতে পারবে আরও বড় কিছু। তাদেরকে এগিয়ে নিতে, তাদের পথচলা মসৃণ করতে- প্রয়োজন শুধু সঠিক দিক নির্দেশনা। তাদেরকে যদি সঠিক দিক নির্দেশনা দেওয়া যায় তাহলে আলোকিত হয়ে উঠবে এ দেশ।
আপনার মন্তব্য