নিজস্ব প্রতিবেদক

০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০১:১৩

ত্যাগের উৎসব আজ

আজ (শনিবার) পবিত্র পবিত্র ঈদুল আজহা। মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। আত্মত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হওয়ার উৎসব।

আজ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা ত্যাগের মহিমায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মহান আল্লাহর সন্তুষ্ট লাভের উদ্দেশে পশু কোরবানি দেবেন।

মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য হজরত ইব্রাহিম (আ.) তাঁর প্রিয় পুত্র হজরত ইসমাইলকে (আ.) কোরবানি করতে উদ্যত হন। কিন্তু আল্লাহপাকের অশেষ মেহেরবানিতে ইসমাইলের (আ.) পরিবর্তে একটি দুম্বা কোরবানি হয়ে যায়। হজরত ইব্রাহিমের (আ.) ত্যাগের মহিমার কথা স্মরণ করে সারা বিশ্বের মুসলিমরা জিলহজ মাসের ১০ তারিখে আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের প্রত্যাশায় পশু কোরবানি করে থাকেন। পশু কোরবানির কারণে এই ঈদ সাধারণ মানুষের কাছে কোরবানির ঈদ বলেই পরিচিত।

ইতিমধ্যে কোরবানির পশু কেনা সম্পন্ন হয়েছে। সিলেটের বিভিন্ন পশুর হাটে শুক্রবার রাত পর্যন্ত ছিলো ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। বৃষ্টি উপেক্ষা করে ক্রেতারা সেরে নিয়েছেন নিজেদের কেনাকাটা। ঈদের সর্বশেষ প্রস্তুতি।

ঈদুল আজহায় মুসল্লিদের প্রধান কর্তব্য দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ জামাতে আদায় করে আল্লাহ তাআলার উদ্দেশে পশু কোরবানি করা। ঈদের জামাতের খুতবায় খতিব ঈদের তাৎপর্য তুলে ধরবেন। নামাজ আদায়ের পর শুরু হবে কোরবানি। জিলহজ মাসের ১০ তারিখে ঈদুল আজহা হলেও, ১১ ও ১২ জিলহজেও পশু কোরবানি করার বিধান রয়েছে।

সিলেটসহ সারাদেশে এবার একটু ভিন্ন পরিস্থিতিতে ঈদ উদ্‌যাপিত হচ্ছে। উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও বৃষ্টিতে প্রবল বন্যা হয়েছে সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলা পানিতে তলিয়ে গেছে। গুলোতে। অসংখ্য পরিবার ঘরবাড়ি, সহায়-সম্পদ হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকায় ফসলহানি হয়েছে।

অনেক এলাকার ঈদগাহও ডুবে গেছে। পানি নামতে শুরু করলেও অনেক ঈদগাহে এখনো ঈদের জামাত আদায় করার মতো পরিবেশ নেই। সেই সব জায়গায় বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে ঈদুল আজহার জামাত।

বন্যাকবলিত শস্যসম্পদ হারানো মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে বাঁধ, সড়ক বা উঁচু স্থানে অস্থায়ী ঝুপড়িঘর করে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। পরিস্থিতির বাস্তবতায় এসব দুর্গত মানুষের পক্ষে ঈদের আনন্দ উপভোগ করা সম্ভব হয়ে উঠবে না। তবে সমাজের বিত্তবান, সামর্থ্যবান, যাঁরা কোরবানি করবেন তাঁদের কোরবানিতে হক রয়েছে দুস্থ অসহায় মানুষের। এটি ধর্মেরও বিধান। কাজেই আনন্দের দিনে আর্ত-অসহায় মানুষের কথা ভুলে থাকলে চলবে না। তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। এই আনন্দের দিনে ওই অসহায় নিঃস্ব মুখগুলোতে হাসি ফুটিয়ে তুলতে পারলেই সার্থক হবে ঈদের আনন্দ উদ্‌যাপন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত