রায়হান উদ্দিন সুমন, বানিয়াচং

১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ১৮:৩৩

বানিয়াচংয়ে ১০৮টি মণ্ডপে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি

বানিয়াচংয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতি এখন শেষপর্যায়ে। প্রতিমা তৈরিতে খুব ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। মঙ্গলবার শুভ মহালয়ার মাধ্যমে শুরু হয়ে গেছে পূজার আনুষ্ঠানিকতা।

এবার বানিয়াচং উপজেলায় মোট ১০৮টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। যার মধ্যে সার্বজনীন পূজামণ্ডপ রয়েছে ১০৬টি আর পারিবারিক পূজামণ্ডপ রয়েছে ২টি।

দেবী দুর্গার শেষ তুলির শেষ টান আর ঢাকের বাদ্য শুরু হলেই উৎসবে মেঠে উঠবে হিন্দু সম্প্রদায়। আকাশের ছেঁড়া মেঘের ভেলা, কাঁশফুল, ভোরবেলার শিউলি ফুলের গন্ধ এসব কিছুর কারণ একটাই দুর্গতিনাশিনী দেবী মা দুর্গার আগমন। বাঙালির জীবনে দুঃখের যেমন শেষ নেই, শাশ্বত আনন্দের উপলক্ষেরও কমতি নাই। শারদ-উৎসব বাঙালির ঐতিহ্য ও পরম্পরা বহন করে চলেছে।

কালো মেঘে আকাশজুড়ে তবু ও যথানিয়মে কার্তিক মাস এসেছে। পদ্মা ও শিউলির লাবণ্য ছড়িয়েছে এদিক ওদিকে শুরু হবে ঢাকের বাদ্য। প্রতিবারের মতো সঙ্গী করে এবারও দুর্গা দেবী যথারীতি আসবেন। আর এই দেবীকে বরণ করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়।

এদিকে, সবকটি পূজামণ্ডপে সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রণালয় জিআর প্রকল্পের ৫০০ কেজি করে মোট ৫৩ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্লাবন পাল। তিনি জানান, বরাদ্দকৃত চাল দুই এক দিনের মধ্যেই নিজনিজ পূজামণ্ডপের সভাপতির কাছে হস্তান্তর করা হবে।

উপজেলা সদরের রায়েরপাড়ার রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম, কালীবাড়ি, বুড়া শিববাড়ি ও কয়েকটি বাড়ি ঘুরে দেখা গেছে পুরোদমে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা। তুলির শেষ টান দিচ্ছেন দুর্গা, সরস্বতী, লক্ষ্মী, কার্তিক ও গণেশের গায়ে। আর পুরো বিষয়টি আরও দৃষ্টিনন্দন করতে মৃৎশিল্পীরা মুল প্রতিমার পাশাপাশি তৈরি করেছেন পুরানের নানা চরিত্র।

এ প্রসঙ্গে মৃৎশিল্পী দুলাল পাল বলেন, প্রতিমা তৈরির কাজ শেষে দিকে। এখন রঙ এর আঁচড়ে প্রতিটি প্রতিমাকে আকর্ষণীয় করে তোলার কাজ চলছে।

এদিকে দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিভিন্ন স্থানে পুলিশী প্রহরায় নির্মিত হচ্ছে প্রতিমা। নির্মাণের স্থানগুলোতে পুলিশ প্রহরায় সার্বক্ষণিক ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বানিয়াচং পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবু কৃষ্ণ দেব জানান, পূজার সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বৈঠক করা হয়েছে।

বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক জানান, আসন্ন দুর্গাপূজাকে ঘিরে ব্যাপক আকারে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পূজা শুরুর দিন থেকে পুলিশের পাশাপাশি আনসার ও সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন করা হবে। যে কোন বিশৃঙ্খলা এড়াতে নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত