হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

১৬ ডিসেম্বর, ২০১৭ ১৯:১৪

হবিগঞ্জে স্মৃতিসৌধের বেদি পরিষ্কার করল একদল তরুণ-তরুণী

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) ভোর থেকেই দুর্জয় হবিগঞ্জের স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে মানুষের ভিড় জমে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। লম্বা লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে স্মৃতিসৌধের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে যান বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বদলে যেতে থাকে স্মৃতিসৌধ এলাকার দৃশ্যপট।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে দুপুর ১২ পর্যন্ত পর্যন্ত সবকিছু ঠিক ভাবে চললেও ১২টার পরই শুরু হয় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি। ফুল নেয়ার জন্য রীতিমত যুদ্ধ। মিনিটের মধ্যেই সব ফুল নিয়ে স্মৃতিসৌধের চারপাশ তছনছ করে দেয় একদল শিশু-কিশোর। ইতোমধ্যে স্মৃতিসৌধের বেদি, সিঁড়িতে যত্রতত্রভাবে ছড়িয়ে আছে কর্কশিট, ফুল,পাতা। বিকাল তিনটা পেরিয়ে গেলেও স্মৃতিসৌধ পরিষ্কারের কোনও উদ্যোগ ছিল না কর্তৃপক্ষের। সম্পূর্ণ অরক্ষিতভাবে ফেলে রাখা স্মৃতিসৌধে শহীদদের স্মরণে নিবেদন করা শ্রদ্ধাঞ্জলি ম্লান হয়ে যায় নিমিষে।

এমন অবস্থায় বিকাল ৩টার সময় স্মৃতিসৌধের বেদিতে প্রীতি বিতর্ক করতে আসে হবিগঞ্জ ডিবেটিং সোসাইটির একঝাঁক তরুণ-তরুণী। স্মৃতিসৌধের বেদি অপরিচ্ছন্ন দেখে তারা নিজ দায়িত্বে পরিষ্কার শুরু করে।

এ বিষয়ে হবিগঞ্জ ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ইরতিজা দোহা বলেন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আর বিজয় উদযাপন করতে আমরা ঠিক করি প্রীতি বিতর্ক স্মৃতিসৌধে করব। এখানে এসে দেখি যত্রতত্রভাবে কর্কশিট, ফুল,পাতা পড়ে অপরিচ্ছন্ন হয়ে আছে স্মৃতিসৌধ। দেখলাম অনেক শিক্ষিত লোকজন আসছেন জুতা পায়ে স্মৃতিসৌধে উঠছেন, ছবি তুলছেন কিন্তু এই পবিত্র জায়গাটা পরিষ্কার করার কোন উদ্যোগ নেই কারো। তাই পাশের ক্লিনিক থেকে ঝাড়ু এনে আমরা সকলে মিলে স্মৃতিসৌধ পরিষ্কার করি।

ইরতিজা আরও বলেন, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে এই দেশ। তাদের স্মরণে তৈরি করা হয়েছে এই স্মৃতিসৌধ। তাই শহীদের স্মৃতি বিজড়িত এই স্থানের এমন অসম্মান মেনে নিতে পারিনা আমরা। আমার মনে করি স্মৃতিসৌধ, শহীদমিনার সহ এ ধরনের স্থাপনাগুলো যেন রক্ষিত করা যথাসম্মানে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত