গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি

২০ জানুয়ারি, ২০১৮ ১০:০৪

গোলাপগঞ্জে দিপু হত্যা: চাচী গ্রেপ্তার, আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

সিলেটের গোলাপগঞ্জে চাঞ্চল্যকর প্রবাসীর পুত্র ছেলে তরুণ ব্যবসায়ী তোফায়েল আহমদ দিপু (১৮) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দিপুর আপন চাচী সাজনা বেগমকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের গেইট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ এই পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে। অপর দুজন হলো দিপুর চাচা অপুল মিয়া (৪৫), অনিক আহমদ (২০)।

গ্রেপ্তারের পর সাজনা বেগম শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে ১৬৪ দ্বারায় আদালতে দিপু হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, দিপুর চাচী সাজনা বেগম বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বামী অপুল মিয়া ও ছেলে অনিককে দেখতে গেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের গেইট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় নিয়ে আসে। পরে শুক্রবার বিকেলে দিপুর আপন চাচী সাজনা বেগম সিলেট জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট কাকন দে'র আদালতে ১৬৪ দ্বারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

সাজনা বেগম জবানবন্দিতে জানান, দিপুকে হত্যা করার জন্য চাচা অপুল মিয়া, চাচাতো ভাই অনিক আহমদ ও চাচী সাজনা বেগম আগ থেকেই অপেক্ষা করছিল। রাত ১১ টার দিকে দিপু বাড়িতে আসামাত্র তার চাচাতো ভাই অনিক পিছন দিক থেকে দিপুকে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এসময় দিপু মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তখন দিপুর চাচা অপুল মিয়া দিপুর মৃত্যু নিশ্চিত করে রক্তমাখা লাশ পাশের পুকুর পাড়ে ফেলে আসে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ আব্দুন নাসের সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, দিপু হত্যার রহস্য অনেকটাই উন্মোচিত হয়ে গেছে সাজনা বেগমের আদালতে জবানবন্দির মাধ্যমে। দিপুর হত্যাকাণ্ডে আর কেউ জড়িত আছে কিনা, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে বলেও জানান তিনি।

গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের উত্তর রায়গড় গ্রামের গ্রামের সৌদি প্রবাসী ওবুদ মিয়ার পুত্র তোফায়েল আহমদ দিপুকে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারাত্মক আঘাত করে হত্যার পর লাশ বাড়ির সামনে পুকুর পাড়ে ফেলে যায়। এ ঘটনায় ২৭ ডিসেম্বর নিহত দিপুর মা সালমা বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন ( মামলা নং- ১০, তাং-২৭,১২,১৭)। মামলায় দিপুর আপন চাচা অপুল মিয়াকে (৪৫)  প্রধান আসামী এবং চাচাতো ভাই অনিক আহমদ (২০) ২ নং আসামী ও অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামী করা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত