সিলেটটুডে ডেস্ক

০১ মার্চ, ২০১৮ ১৭:৫০

মহানগর বিএনপির লিফলেট বিতরণ

বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে নগরীতে লিফলেট বিতরণ করেছে সিলেট মহানগর বিএনপি।

বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) দুপুরে বিপুল সংখ্যক দলীয় নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে নগরীর কোর্ট পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টসমূহ এবং বিপণী বিতানে চলমান লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি চৌহাট্টা পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী, সহসভাপতি সালেহ আহমদ খসরু, সহসভাপতি ও সিসিক প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সুদীপ রঞ্জন সেন বাপ্পু, উপদেষ্টা সৈয়দ বাবুল হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজমল বখত চৌধুরী সাদেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মঈনুদ্দিন সোহেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলার দিনার খান হাসু, সাংগঠনিক সম্পাদক মুকুল মোর্শেদ, মাহবুব চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক শামীম মজুমদার, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. আশরাফ আলী।

বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন নেতৃবৃন্দের মধ্য থেকে উপস্থিত ছিলেন লল্লিক আহমদ চৌধুরী, লোকমান আহমদ, শেখ মু. ইলিয়াস আলী, রায়হান উদ্দিন মুন্না, এম. মখলিছ খান, জেবুল হোসেন ফাহিম, জিয়াউর রহমান দীপন, মওদুদুল হক মওদুদ, আব্দুস সাত্তার আমীন, আক্তার রশীদ চৌধুরী, উজ্জল রঞ্জন চন্দ, মঈনুল ইসলাম মঞ্জু, নাহিদুল ইসলাম নাহিদ, এডভোকেট শফিউল আজম শিপু, মাসুম রাজ্জাক রুমেল, মির্জা জাহেদ আহমদ, কয়েস আহমদ, নুরুল ইসলাম নুরুল, কামরান হোসেন হেলাল, এনাম আহমদ, জিএম সেলিম, আব্দুল হাসিব, রেজাউল করিম রানা, জামাল আহমদ খান, আশিকুর রহমান তারেক, আলী আকবর রাজন ও জাহেদ আহমদ প্রমুখ।

লিফলেটে বলা হয়েছে, সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়েই একটি ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় তিন বারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ফরমায়েশি রায় প্রদান করে কারাগারে আটকে রেখেছে। জনগণ মনে করে, বিচার ব্যবস্থাকে কবজা করে এই রায়ের মাধ্যমে শেখ হাসিনা তাঁর চরম রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করেছেন। তাই বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠানোর কয়েক ঘণ্টা পরেই শেখ হাসিনা উপহাস করে বলেছেন- ‘তিনি আজ কোথায়’? তাঁর ছেলে বানী দেয় ‘জেলখানাই তাদের ঠিকানা’। এক সময় শেখ হাসিনার পিতাও সিরাজ শিকদারকে হত্যা করে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে দম্ভোক্তি করে বলেছিলেন- ‘কোথায় আজ সিরাজ শিকদার’? এরপরে কে কোথায় গেছে, তা দেশবাসীর জানা আছে। বাংলাদেশে রাজনীতিবিদদের নামে দুর্নীতির মামলা নতুন কিছু নয়। এসব মামলায় কেউ কেউ কারাগারেও গিয়েছেন। ১৯৬০ সালে দুর্নীতির মামলায় শেখ মুজিবুর রহমানেরও দুই বছরের কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা হয়েছিল। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বাংলাদেশের বৃহত্তম দুটি দলের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনাকে দুর্নীতির অভিযোগে কারাগারে যেতে হয়েছে। দেশবাসী তাদের কাউকেই প্রত্যাখ্যান করেনি। বরং তাদের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। যারা তাঁদের জেলে নিয়েছিল তারাই আজ ইতিহাসের আস্থাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে অবিলম্বে এই ফরমায়েশি রায় বাতিল করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তির দাবি জানানো হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত