সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেছেন জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীম আল ইমরান।

শনিবার (৩ মার্চ) সকালে উপজেলার ফেনারবাক ইউনিয়নের হাওর রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করা হয়।

জানা যায়, জামালগঞ্জ উপজেলায় ১০০টি পিআইসি রয়েছে। এর মধ্যে বেহেলী ইউনিয়নে ৫২টি, ফেনারবাক ইউনিয়নে ৩৫টি, জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নে ৫টি, সদর ইউনিয়নে ১টি, ভীমখালী ইউনিয়নে ৪টি, সাচনা বাজার ইউনিয়নে ৩টি বাঁধ রয়েছে। ১০০টি পিআইসিতে চূড়ান্ত প্রকল্পের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১৭ কোটি টাকার উপর। এ সকল কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য ড্রাম ট্রাক ও এক্রোভেটর সহ অর্ধশত। এ সকল বাঁধের কাজ ৮ মার্চ এর মধ্যে শেষ করতে হবে বলে জানা সংশ্লিষ্ট পিআইসিরা।

ফেনারবাক ইউনিয়নের মোট কাজের মধ্যে ৯৭ শতাংশ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, ফেনারবাক ইউনিয়নের প্রকল্প নং ৪৮, পিআইসি শ্রীকান্ত তালুকদার, পাকনা হাওরের প্রকল্প ৫৯০ মিটার, প্রকল্প ব্যয় ১২ লক্ষ ৫০ হাজার ৪২৫ টাকা। পিআইসি মাহমুদ আলী, প্রকল্প নং ৩২, দুরত্ব  ৯২৬ মিটার, প্রকল্প ব্যয় ১৫ লক্ষ ২৪ হাজার ৫৮৩ টাকা। প্রকল্প নং ৩৪, পিআইসি জয়শেন সরকার, ৯৫২। প্রকল্প নং ৪৪, পিআইসি দিপক তালুকদার, দুরত্ব ৫০০ মিটার, ব্যয় ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। প্রকল্প নং ৩৩, পিআইসি রফিকুল ইসলাম রানা, প্রকল্প ব্যয় ৬ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা, দুরত্ব ২৯৪ মিটার।

ফেনারবাক ইউপি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য  মো. রফিকুল ইসলাম রানা বলেন, সরকারি বিধি মোতাবেক কাজ শুরু করেছি। এখন প্রায় কাজ শেষ আমি ও আমার সাথে পিআইসি সদস্য শিপন, জিয়াউদ্দিন, সুরমান উদ্দিন সহ শ্রমিকদের নিয়ে একসঙ্গে নিজে কাজ করছি। বাঁধে এখন ঘাস লাগাচ্ছি। বাঁধের কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন হবে।

এছাড়াও উপজেলার ফেনারবাক, ভীমখালী, বেহেলী ইউনিয়নের পিআইসিদের বিভিন্ন হাওর রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেন জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীম আল ইমরান।

এ সময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাচনা বাজার ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শামীম, পাউবো শাখা কর্মকর্তা নিহার রঞ্জন দাস, ফেনারবাঁক ইউপি চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু তালুকদার, ভীমখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. দুলাল মিয়া, সাংবাদিক মো. ওয়ালী উল্লাহ সরকার, ইউপি সচিব অজিত কুমার রায় প্রমুখ।