সিলেটটুডে ডেস্ক

২৯ আগস্ট, ২০১৮ ২১:৩৭

ক্ষমতার লিপ্সায় ১৬ কোটি মানুষ জিম্মি: খন্দকার মুক্তাদির

বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, দু’একজন মানুষের ক্ষমতার লিপ্সার কারণে দেশের ১৬ কোটি মানুষ আজ জিম্মি। কোনো ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি পেশার মানুষ এই আতঙ্কের বাইরে নয়। গত দশ বছরের এমন কোনো শ্রেণি পেশার মানুষ নাই যারা কোনো না কোনো ভাবে রাষ্ট্র কর্তৃক নিপীড়ণের শিকার হয়নি।

বুধবার (২৯ আগস্ট) সিলেট নগরীর সোবহানীঘাটস্থ একটি অভিজাত হোটেলের হলরুমে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের উদ্যোগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে আয়োজিত “রাজনৈতিক নেতৃত্ব বিকাশে পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ” কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন তিনি।

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের উদাহরণ টেনে সরকার দলীয় প্রার্থীর ব্যাপারে ইঙ্গিত করে তিনি আরো বলেন, ৮৫ হাজার ভোট দিয়েছে তারপরও ছয় সাত হাজার ভোটের ব্যবধানে হেরেছে। যে ভোট পেয়েছে তারমধ্যে অধিকাংশই ছিল জাল ভোট। কিন্তু জাল ভোটের সিলগুলোও তারা ঠিকমত দিতে পারেনি। যদি দিতে পারত তাহলে হয়ত আরো আট দশ হাজার ভোট বাড়ার সম্ভাবনা ছিল। আল্লাহর ইচ্ছায় এক জায়গায় আটকে গেছে।

প্রশিক্ষণরত পোলিং এজেন্টদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে যিনিই পোলিং এজেন্টের দায়িত্বে থাকবেন তার কিন্তু প্রথম মিনিটেই বিড়াল মারতে হবে। সেন্টারে প্রবেশের পরেই প্রিজাইডিং অফিসার সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার যারা থাকবেন তারা যাতে বুঝতে পারেন এই পোলিং এজেন্ট সব কিছু বুঝেশুনে দায়িত্ব নিয়েছেন একে ধোঁকা দেয়া সম্ভব হবেনা এবং ধমক দিয়েও কোনো লাভ হবেনা প্রতারণায় কাজ হবে না। এই উপলব্ধিটি যদি দায়িত্বরত প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এবং পোলিং কর্মকর্তাদের দেওয়া যায় তাহলে পঞ্চাশ ভাগ কাজ সহজ হয়ে যাবে। যুদ্ধে যেহেতু আমরা যাবই এই যুদ্ধে দেশের সংখ্যা গরিষ্ঠের সমর্থন আমাদের সাথে আছে। বাংলাদেশের ভোটার যদি দশ কোটি হয় তার মধ্যে ৮ কোটির বেশী মানুষ বর্তমান সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায়না। জনগণের শারীরিক ও নৈতিক সমর্থন দুটো নিয়েই আমরা ভোটের সেন্টারে যাচ্ছি। বিগত দিনে এই জনগণ প্রার্থনা করে এসেছেন সরকার যেন পরিবর্তন হয় এবং একটি দায়িত্বশীল সরকার যেন ক্ষমতায় আসে। সুতরাং আমরা দেশবাসীর দোয়া এবং আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। যারা আমরা পোলিং এজেন্টের দায়িত্ব পালন করব তারা শুধুই একজন পোলিং এজেন্ট না। একটি স্বাভাবিক সাধারণ নির্বাচনে আমাদের দায়িত্ব কিন্তু সীমিত। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন পোলিং এজেন্টের দায়িত্ব অনেক বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ। আপনার একজনের উপরেই হয়তো একটি আসনের ফলাফল নির্ভর করবে। তাই দায়িত্বরত পোলিং এজেন্টকে সতর্ক এবং সাহসের সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল। প্রশিক্ষণ প্রদান করেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম। কর্মশালায় ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল এর পক্ষে বক্তব্য রাখেন ডেপুটি রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর মোছাম্মদ রাহিমা বেগম।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত