বিশ্বনাথ প্রতিনিধি

০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ২১:১৪

বিশ্বনাথে ‘গরু চোর’ ধরতে গিয়ে আহত পুলিশ, গ্রেপ্তার ২

সিলেটের বিশ্বনাথে গরু চুরির সন্দেহভাজন আসামি ধরতে গিয়ে রিপন আহমদ নামের এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ সময় উপজেলার পালেরচক গ্রামের মৃত ইছবর আলীর ছেলে নূর আলম (৩৫) ও তার ছোট ভাই লুৎফুর রহমানকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে উপজেলার পালেরচক গ্রামের নিজ বসতবাড়িতে তাদের গ্রেপ্তার করতে যায় থানা পুলিশ।

তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশ সদস্য রিপন আহমদকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে থানায় ফিরেছেন।

পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নূর আলম পুলিশের উপর আচমকা ধাক্কা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় আটকাতে চাইলে পুলিশ ও আসামিদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হলে এক পুলিশ কনস্টেবল আহত হন।

একই গ্রামের শামিম মিয়ার দায়ের করা গরু চুরির মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে, (মামলা নং-০৬) তারিখ ০৬/০৯/১৮ইং।

তবে থানা হাজতে বন্দী থেকেও গ্রেপ্তারকৃত দুই ভাই বাদীপক্ষের ৩/৪জনকে হুমকি দিয়েছে বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ১৬ আগস্ট দিবাগত ভোররাতে প্রায় ৩ লাখ টাকার ৪টি গরু চুরি হয় শামিম মিয়ার। ওইদিন সকাল ৮টার দিকে শামিম মিয়ার বাড়িতে গিয়ে টাকা দিলে নূর আলম চোরাইকৃত গরু উদ্ধার করে দিতে পারবে বলে তাকে (শামিম) জানায়। এনিয়ে একাধিক বৈঠকও হয়। সর্বশেষ পঞ্চায়েতগণ ২৪ আগস্ট বৈঠকের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু গ্রেপ্তারকৃতদের পক্ষ নিয়ে গ্রামের বাদশা মিয়া বৈঠকে উপস্থিত হননি। ফলে গ্রাম্য সালিশে বিচার না পেয়ে অবশেষে আইনের আশ্রয় নেন শামিম।

এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত লুৎফুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মামলা নং বিশ্বনাথ জিআর ৬৫/১৭ইং।

শামিম মিয়ার দাবি, নূর আলম ও তার ভাই লুৎফুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে আন্ত:জেলা চোর ও ডাকাত দলের সদস্য। তারা চুরি-ছিনতাইয়ের পাশাপাশি নিজস্ব সিএনজি দিয়ে মদ-গাঁজা পাচার করে থাকে। এমনকি রামপাশা এলাকায় যে কারো গরু চুরি হওয়ার পর টাকার বিনিময়ে তারা ফিরিয়ে দেয়।

মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নবী হোসেন বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা পালিয়ে যাবার চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তিতে রিপন আহমদ নামের এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। গ্রেপ্তারের পর বিকেলে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত