আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কমলগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক রফিকুর রহমান স্থানীয় এমপি উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদের বিরুদ্ধে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন।

শুক্রবার (৮ মার্চ) সকাল ১১টায় উপজেলাস্থ নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব অভিযোগ তোলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যাপক রফিকুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক রফিকুর রহমান  বলেন, এমপি উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ সরকারি প্রটোকল ব্যবহার করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে উন্নয়ন কাজের প্রতিশ্রতিসহ আওয়ামী বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা অংশগ্রহন করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অধ্যাপক রফিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ৪র্থ বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দক্ষতা ও যোগ্যতার সাথে দেশ পরিচালনা করছেন। দেশের সার্বিক উন্নয়ন তরান্বিত করে আন্তজার্তিক মহলে প্রশংসিত হচ্ছেন। স্থানীয় সরকার কাঠামোর অন্যতম অংশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্ধিতা করছি। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমার সাথে প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদ এর আপন ছোট ভাই ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল। ৬ বার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে তিনি নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত এমপি আব্দুস শহীদ নিজ ভাই ইমতিয়াজ আহমদ এর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
    
তিনি আরও বলেন, এমপি সরকারি প্রটোকল ব্যবহার করে কমলগঞ্জের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সরকারি উন্নয়নমূলক কাজের প্রতিশ্রুতিসহ নানাভাবে নির্বাচনী কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করে ভোটারদের ভাইয়ের পক্ষে আনার চেষ্টা করছেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত ও নৌকা মার্কার একজন এমপি হয়ে তিনি আজ আওয়ামী লীগ ও নৌকা মার্কার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দলের নেতাকর্মীদেরও দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার আহ্বানসহ নানা অপচেষ্টা করছেন এবং সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করছেন। আব্দুস শহীদ এমপি নিজ এলাকায় অবস্থান করে তাঁর ভাইকে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করার যে নানামুখী তৎপরতা একজন সংসদ সদস্য হিসাবে আচরণবিধি লঙ্ঘনেরও সামিল।

আগামী ১৮ মার্চ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হওয়ার আশা ব্যক্ত করে রফিকুর রহমান আরও বলেন, সংসদ সদস্যের আচরণবিধি লঙ্ঘনের এসব অভিযোগ বিষয়ে গত ৫ মার্চ রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। সংসদ সদস্যের এসব কর্মকান্ডের তিনি তীব্র নিন্দা জানান।