সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

২৯ মার্চ, ২০১৯ ২২:১৬

সিলেটে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক অলিম্পিয়াড

“মুক্তিযুদ্ধকে জানো, স্বাধীনতাকে জানো” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সিলেটে প্রথমবারের মতো মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক অলিম্পিয়াড আয়োজন করলো সামাজিক সংগঠন ‘রুরাল টু আরবান’।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সিলেটের সার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজে আয়োজিত এ অলিম্পিয়াডে সিলেট বিভাগের প্রায় ২০টির অধিক স্কুলের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। একটি প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ইতিহাসের সাথে বর্তমান প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দেওয়াই ছিলো এই অলিম্পিয়াডের মূল লক্ষ্য।

অসংখ্য শিক্ষার্থীর প্রাণোচ্ছলতার মধ্যে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সকাল সাড়ে ৮ টায় অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।

রুরাল টু আরবানের সভাপতি মো. আবু সাঈদের সভাপতিত্বে এবং জেনারেল সেক্রেটারি হাফিজুর রহমান রাহাদ ও হেলথ সেক্রেটারি আছিয়া বেগমের যৌথ উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিশ্বপ্রিয় চক্রবর্তী।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার মো. আব্দুল খালিক, সিলেট সার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. মহিউদ্দিন ফারুক।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী বলেন- মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ, আর বঙ্গবন্ধু আলাদা কিছু নয়, সবই এক সূত্রে গাঁথা। সুতরাং এই প্রজন্মের উচিৎ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে সঠিক ধারণা পোষণ করা।

তিনি তার বক্তব্যের শেষে মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে এরকম একটি উদ্যোগ গ্রহণের জন্য রুরাল টু আরবানকে সাধুবাদ জানান।

এছাড়া ও বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শাবিপ্রবির সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিশ্বপ্রিয় চক্রবর্তী তরুণ ছাত্রছাত্রীদের দেশপ্রেমের বিভিন্ন বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করেন এবং তাদেরকে দেশের একেকজন সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠার জন্য অনুপ্রাণিত করেন। এরকম ব্যতিক্রমধর্মী অলিম্পিয়াড আয়োজন করার জন্য রুরাল টু আরবান কে ধন্যবাদ জানান এবং প্রতিবছর ধারাবাহিকভাবে এটি অনুষ্ঠিত করার জন্য তাদেরকে আহ্বান জানান।

অলিম্পিয়াডটি ২টি গ্রুপে আয়োজন করা হয়। ক্লাস ৬-৮ “ক” গ্রুপে এবং ক্লাস ৯-১০ “খ” গ্রুপে বিভক্ত করে এটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন, প্রথম রানার আপ, দ্বিতীয় রানার আপকে সম্মাননা ক্রেস্ট, শিক্ষাবৃত্তি এবং সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। এছাড়াও বেশ কয়েকজনকে বিশেষ পুরস্কার সহ অংশগ্রহনকারী সবাইকেই সনদপত্র প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন রুরাল টু আরবানের ফাউন্ডার সোহেল রানা, সহ সভাপতি জাকির হোসেন, অর্গ্যানাইজিং সেক্রেটারি আফজাল হোসাইন নাঈম, মুজাহিদুল ইসলাম, জয়েন্ট সেক্রেটারি জায়েদ আহমদ জাদু, ফিন্যান্স সেক্রেটারি সৈয়দ জাফরুল হোসেন, প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর জয়নুল হোসেন তুহিন, ভলান্টিয়ার কো অর্ডিনেটর আফজাল নাদির, আমিনা বেগম, জাকিয়া সুলতানা, রহিমা বেগম, ফাইজা সাদিয়া পরী, হুমাইরা জাকিয়া পুতুল, নাদিয়া সুলতানা, দাইয়ান আহমেদ, উসমান ফাইয়াজ পলাশ, রায়হান জালালী, আশিকুর রহমান আশিক, জামেনা বেগম প্রমুখ।

উল্লেখ্য, রুরাল টু আরবান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং সঠিক ইতিহাস তরুণ প্রজন্মের নিকট পৌঁছে দিতে এখন থেকে প্রতি বছর এই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক অলিম্পিয়াড আয়োজন করবে। দেশের ইতিহাস ও স্বাধীনতা সম্পর্কে ছোটবেলা থেকেই যেন শিক্ষার্থীরা আগ্রহী হয়ে উঠে, এজন্যই তাদের এই প্রয়াস।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত