মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের নইনারপার-হকতিয়ারকলা সড়কের বেহাল দশার কারণে দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। বেশ কয়েকটি গ্রাম ও দুইটি চা বাগানে মানুষজনের যাতায়াতের প্রধান সড়ক এটি। তাই সড়কটির একাংশ দীর্ঘদিন ধরে পাকাকরণ না হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে কাদামাটির উপর দিয়ে চলাচল করতে হয় এলাবাসীকে। খানাখন্দে ভরা কাঁদাযুক্ত রাস্তা দিয়ে চলাচলে ওই এলাকার জনসাধারণ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বিশেষ করে চাকুরিজীবি ও শিক্ষার্থীরা বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
    
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর অধীনস্থ আদমপুর ইউনিয়নের নইনারপার বাজার থেকে-হকতিয়ারকলা সড়কের এক কি.মি. রাস্তা পাকাকরণ হলেও অবশিষ্ট রাস্তা পাকাকরণ হয়নি। তাই বর্ষা মৌসুমে পানিতে কাঁদা জমে যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলে দুর্ভোগ অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। ইউনিয়নের কাটাবিল, হকতিয়ারকলা ও কেওয়ালিঘাট গ্রাম ছাড়াও পার্শ্ববর্তী গোবিন্দপুর ও মদনমোহনপুর চা বাগানে যাতায়াতের রাস্তা এটি। মণিপুরী অধ্যুষিত এলাকায় স্কুল কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী, চাকুরিজীবি ও গ্রামের জনসাধারণ এই রাস্তা ব্যবহার করে হাটবাজার, কর্মস্থল ও অফিস-আদালতে গমন করেন। তবে রাস্তার অবশিষ্টাংশ পাকাকরণ না হওয়ায় সাইকেল, রিক্সা নিয়েও চলাচল করা সম্ভব হয় না বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।


হকতিয়ারকলা গ্রামের রেজা উদ্দিন, শিক্ষার্থী জাহানারা বেগম, সনজনা বেগম, উত্তর বাগের আতাউর রহমান, কাওয়াল উদ্দিন, রজব উদ্দীনসহ স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক বছর আগে এই রাস্তার ১ কিলোমিটার কাজ করা হলেও অবশিষ্ট অংশে পাকাকরণ হচ্ছে না। গ্রামবাসী বিভিন্ন সময়ে রাস্তা পাকাকরণের দাবি জানিয়ে আসলেও কোন কাজ হচ্ছে না। ফলে কাঁদা রাস্তা দিয়ে চলাচলে অনেক সময় কাপড় চোপড়ও নষ্ট হয়ে পড়ে এবং রোগী বহন করাও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।

একই গ্রামের বাসিন্ধা ব্যাংকার ললিত মোহন সিংহ বলেন, রাস্তার কারণে আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দ্রুত রাস্তাটি পাকাকরণ হলে জনসাধারণের চলাচলে আরো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে।
    
রাস্তার পাকাকরণের বিষয়ে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কমলগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন, এই রাস্তার সংস্কার কাজ হয়েছে এবং ১ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ১ কিলোমিটার রাস্তা ইতিমধ্যে টেন্ডার হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে।