নিজস্ব প্রতিবেদক

১৩ অক্টোবর, ২০১৯ ০১:০৬

সামনে বিদ্যুতের খুঁটি ও ট্রান্সফরমার রেখেই চলছে আলী আমজদের ঘড়ি সংস্কার

সিলেটের ঐতিহ্যবাহী কিনব্রিজের পাশের আরেক ঐতিহাসিক স্থাপনা আলী আমজদের ঘড়ি। বারবার সংস্কারের পরও প্রায়ই ঘড়িটি অচল থাকে। তারউপর ঘড়ি ঘরের তিনপাশে রয়েছে বিদ্যুতের চারটি খুঁটি; রয়েছে ট্রান্সফরমার আর বৈদ্যুতিক তারের জট। এসব বিদ্যুতের খুঁটি আর ট্রান্সফরমারের কারণে আড়ালেই পড়ে যায় ঐতিহাসিক এ স্থাপনা।

সম্প্রতি আবার আলী আমজদের ঘড়ির সংস্কার কাজ করছে সিলেট সিটি করপোরেশন। যদিও আগের জায়গায় থাকছে বিদ্যুতের খুঁটি ও ট্রান্সফরমার। ফলে দর্শনার্থীরা সংস্কারের সুফল কতোটা পাবেন এনিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

যদিও সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহাব উদ্দিন শিহাব জানিয়েছেন, সিলেট নগরীতে বিদ্যুতের তার আন্ডারগ্রাউন্ডে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে। ঘড়িঘর এলাকার বৈদ্যুতিক তারও মাটির নিচে চলে যাবে। এই কাজ শেষ হলে বিদ্যুতের খুঁটি আর ট্রান্সফরমার থাকবে না।

বারবার সংস্কারের পরও ঘড়ি বিকল হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সিলেটের প্রতীক হিসেবে পরিচিত আলী আমজদের ঘড়িঘর। সিসিকের পক্ষ থেকে অনেকবার ঘড়িটি সংস্কার করা হয়েছে। তারপরও বিকল হয়ে যায়। এমনটি যাতে আর না হয় তাই বর্তমানে এটি স্থায়ীভাবে সংস্কারের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে এই ঘড়ি ঘরের আশপাশের পার্কিং উচ্ছেদ করেছেন সিটি মেয়র।

সিলেট সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, ঘড়িঘরসহ আশপাশের এলাকা সুন্দর করতে গত সপ্তাহ থেকে কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে এই ঘড়িঘরের আশপাশের অবৈধ পার্কিং উচ্ছেদ করা হয়েছে। ঘড়িঘরের ভৌত অবকাঠামো সংস্কার করে রং করা হয়েছে। এখন ঘড়ির মূল অংশের সংস্কারের কাজ চলছে।

শাহাব উদ্দিন শিহাব বলেন, এটি ঘড়িঘর সিলেটরে ঐতিহ্য। তাই এর সৌন্দর্য রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। শুধুমাত্র সিলেট সিটি করপোরেশন একা সৌন্দর্য রক্ষার কাজ করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে নগরবাসীকেও এগিয়ে আসতে হবে। এখানে যাতে কোনো গাড়ি পার্কিং না হয় সে ব্যাপারে পুলিশের সহযোগিতাও লাগবে।

সিলেটের প্রতীক হিসেবে পরিচিত আলী আমজদের ঘড়িঘর কিনব্রিজ হয়ে নগরের প্রবেশমুখ সুরমা নদীর চাঁদনি ঘাট এলাকায় অবস্থিত। ১৮৭৪ সালে কুলাউড়ার পৃথিম পাশার জমিদার নবাব আলী আহমদ খানের উদ্যোগে ঘড়িটি স্থাপন করা হয়। আড়াই ফুট ডায়ামিটার ও দুই ফুট লম্বা ঘড়িটির কাঁটা। লোহার খুঁটির ওপর ঢেউটিন দিয়ে সুউচ্চ গম্বুজ আকৃতির ঘড়িটি সিলেটের ঐতিহ্য। নবাব আলী আহমদ ঘড়িটি স্থাপন করলেও এটি পরিচিতি পায় তাঁর ছেলে আলী আমজদের নামে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত