নিজস্ব প্রতিবেদক

২৮ অক্টোবর, ২০১৯ ১৫:১৮

পুরাতন খোয়াই উচ্ছেদ অভিযান পরিদর্শনে বাপা প্রতিনিধি দল

হবিগঞ্জে পুরাতন খোয়াই নদী পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে চলা উচ্ছেদ তৎপরতা পরিদর্শন করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ অন্দোলনের (বাপা) একটি প্রতিনিধিদল।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে দশটায় প্রতিনিধি দলটি মাছুলিয়ার ডায়াবেটিক হাসপাতাল থেকে পরিদর্শন শুরু করে স্টাফ কোয়ার্টার এলাকা পর্যন্ত উচ্ছেদ কার্যক্রম পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করে।

বাপা'র কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়কারী শরীফ জামিলের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন বাপা হবিগঞ্জ শাখার সভাপতি অধ্যাপক মো. ইকরামুল ওয়াদুদ, সহ-সভাপতি তাহমিনা বেগম গিনি, মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক মোহাম্মদ আলী মোমিন, বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক ও সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার আব্দুল করিম কিম, বাপা হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক ও খোয়াই রিভার ওয়াটার কিপার তোফাজ্জল সোহেল, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ একলাসুর রহমান খোকন, বাপা হবিগঞ্জের সদস্য এডভোকেট বিজন বিহারী দাস, আসমা খানম হ্যাপি, এডভোকেট শায়লা পারভীন, ডাক্তার আলী আহসান চৌধুরী পিন্টু, আবিদুর রহমান রাকিব, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

পরিদর্শন শেষে স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে প্রতিনিধি দল তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় উচ্ছেদ অভিযান আরও বেগবান করার ব্যাপারে সকল মহলের মনোযোগ আকর্ষণ করেন।

প্রতিনিধি দলের পক্ষে শরীফ জামিল বলেন, হবিগঞ্জ শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন ও খোয়াই পুনরুদ্ধারে দীর্ঘদিনের নাগরিক আন্দোলন থাকলেও ইতিপূর্বে পুনরুদ্ধারের এমন জোরালো প্রচেষ্টা দেখা যায়নি। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বর্তমান জেলা প্রশাসনকে বাপা'র পক্ষ থেকে উচ্ছেদ তৎপরতা শুরু করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তবে এই উচ্ছেদ তৎপরতা উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বাস্তবায়ন বাঞ্ছনীয়।

তিনি আরও বলেন, মাছুলিয়া থেকে গরুর বাজার পর্যন্ত সম্পূর্ণ পুরাতন খোয়াই নদীর সীমানা চিহ্নিত করে নদী অভ্যন্তরে থাকা সকল স্থাপনা নির্মোহ ও ব্যতিক্রমহীনভাবে উচ্ছেদ করে নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দিতে হবে, এবং একই সঙ্গে নদী সংরক্ষণে গৃহীত প্রকল্পে পরিবেশবান্ধব নকশা প্রণয়ন করতে হবে।

পরিদর্শন শেষে প্রতিনিধিদল সদ্য বিদায়ী জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতকালে প্রতিনিধিদল পুরাতন খোয়াই উচ্ছেদ অভিযান দৃঢ়তার সাথে পরিচালনা করায় জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে খোয়াই নদী পুনরুদ্ধার,সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার সকল পর্যায়ে নাগরিকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত