নিজস্ব প্রতিবেদক

১২ নভেম্বর, ২০১৯ ২২:২২

‘কামরানের কাছে বিস্তারিত শুনে সিলেটে রবীন্দ্র উৎসবে আসেননি প্রধানমন্ত্রী’

সিলেটে সদ্য সমাপ্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্মরণোৎসবে প্রধানমন্ত্রী না আসার নেপথ্যে ‌'সিলেট সিটিতে নিজ দলের মেয়র না থাকাকে' ইঙ্গিত করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন। সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের কাছ থেকে রবীন্দ্র উৎসবের 'বিস্তারিত শুনে' প্রধানমন্ত্রী সিলেট না আসার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা জানান আহমদ হোসেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সিলেট ভ্রমণের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে গত ৫ থেকে ৮ নভেম্বর ‘সিলেটে রবীন্দ্রনাথ: শতবর্ষ স্মরণোৎসব'-এর আয়োজন করা হয়। এই উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। যদিও শেষ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী আসেননি।

এরপর আয়োজকদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সমাপনী বক্তব্য দেবেন বলে জানানো হলেও বক্তব্য দেননি প্রধানমন্ত্রী।

এই স্মরণোৎসবের আয়োজক পর্ষদ নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন আওয়ামী লীগ নেতারা। বিশেষত পর্ষদের সদস্য সচিব সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছিলেন সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। যদিও আপত্তি সত্ত্বেও স্বপদে বহাল থাকেন আরিফ। এরপর এই পর্ষদের কোনো আয়োজনেই উপস্থিত হননি কামরান।

মঙ্গলবার মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় আহমদ হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ন্যাম সম্মেলন শেষে আজারবাইজান থেকে ফেরার পর বদর উদ্দিন আহমদ কামরানকে সাথে নিয়ে আমি তাঁর সাথে দেখা করি। প্রধানমন্ত্রী রবীন্দ্র উৎসবের বিস্তারিত শুনেন। শেখ হাসিনা সিলেটে না আসাটা কিসের ইঙ্গিত, আপনারা বুঝে নিন। সিলেটে আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র না থাকায় তিনি আসেননি।’

বর্ধিত সভায় আহমদ হোসেন আরও বলেন, আওয়ামী লীগের বড় শক্তি হলো জনগণ ও বঙ্গবন্ধু। সবচেয়ে প্রচীনতম রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও স্বপ্ন পূরণ করতে জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশের দুর্নীতি বিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এতে করে কেউ রেহাই পাবে না।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ আজ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সকল উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড জনগণের সামনে তুলে ধরার জন্য তিনি দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।

তিনি বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, সেই সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতারাও উপস্থিত থাকবেন। উৎসব মুখর পরিবেশে সফলভাবে সম্মেলন সম্পন্ন করা ও সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের সভাপতিত্বে ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিনের পরিচালনায় বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি তুহিন কুমার দাস মিকন, সিরাজুল ইসলাম, সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল খালিক, মোসাররফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল আনোয়ার আলোয়ার, বিজিৎ চৌধুরী, অধ্যাপক জাকির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, নুরুল ইসলাম পুতুল, এটিএম এ হাসান জেবুল, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ফাহিম আনোয়ার, দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট শামসুল ইসলাম, ধর্ম সম্পাদক ফরহাদ বক্স, প্রচার সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জগদ্বীশ চন্দ্র দাস, বিজ্ঞান প্রযুক্তি সম্পাদক সৈয়দ শামীম আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আজহার উদ্দিন জাহাঙ্গীর, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মখলিছুর রহমান কামরান, শিক্ষা সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক দিবাকর কুমার ধর রাম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক জুবের খান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক প্রিন্স সদরুজ্জামান, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মিসবাউল ইসলাম সুইট, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিধান কুমার সাহা, উপ-প্রচার সম্পাদক গোলাম সোবহান চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন বারা, কার্যকরি সদস্য ফারুক আহমদ চৌধুরী, আব্দুল মুকিত, এডভোকেট বেলাল, এডভোকেট জসিম উদ্দিন, এডভোকেট প্রদীপ ভট্টাচার্য্য, আসমা আহমদ, ছালেহ আহমদ সেলিম, মহি উদ্দিন লোকমান, এডভোকেট জনেল আহমদ, আব্দুল গফফার উনু, জামাল আহমদ চৌধুরী, কামাল আহমদ, ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম, প্রদীপ পুরকায়স্থ, আজমান খান, আব্দুস সোবহান, নাজমুন ইসলাম এহিয়া সহ মহানগর আওয়ামী লীগের ২৭টি ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত