চুনারুঘাট প্রতিনিধি

০২ মে, ২০২৪ ১২:০৪

আমি সংসদে যত কথা বলেছি প্রধানমন্ত্রী অ্যাকশন নিয়েছেন: ব্যারিস্টার সুমন

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে 'মে' দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ টি এস্টেট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেছেন, সবাই নিজেদের নিয়ে এত ব্যস্ত শ্রমিকদের আন্দোলনের কথা ও শ্রমিকদের পক্ষে কেউ কথা বলে না, শুধু শ্রমিক দিবস আসলে পাঞ্জাবি পরে অনুষ্ঠানে লম্বা লম্বা বক্তব্য দেন। উড়াই লাইমু, ভাইঙা লাইমু, দেখতাছি। এর পর আর কাজ করে না। সিলেট বিভাগের সংসদ সদস্যরা চা বাগানের শ্রমিকদের ভোট নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। চা বাগানের শ্রমিকদের কথা বলে নেত্রীর কাছ থেকে সুবিধা নেন, এরকম এমপি আছেন প্রায় ১০-১২ জন চা বাগানের শ্রমিকদের ভোট নিছেন আমার চেয়ে বড় বড় এমপি মন্ত্রী ছিলেন এবং আছেন সিলেট ও চট্টগ্রামে। একবার কি প্রধানমন্ত্রীকে দাঁড়াইয়া বলতে পারেন নাই বাগানের লক্ষ মানুষের ভোট নিচি।

তিনি বলেন, আমাদের বাগান -শ্রমিকরা মরে যাচ্ছে না খাইয়া। চাবাগান ধ্বংস হচ্ছে। ধ্বংস থেকে বাগান বাঁচান। প্রধানমন্ত্রীকে আমার বলতে হইলো কেন? এত বছর কি করলেন তারা। কথায় কথায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক তাদের কাজ কী? মানুষের টাকা মারা দুর্দিনে পাশে না থাকা? বাটপারদের ঠিক করতে আমার মত কিছু আধা পাগলা এমপি দরকার। আমি ঈগলের এমপি আমার সৌভাগ্য হয়নি নৌকার এমপি হইতাম। তারপরও আমি সংসদে দাঁড়াইয়া যত দাবী এবং যত কথা বলেছি সবগুলো কথার ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অ্যাকশন নিয়েছেন। এইটা আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি।

তিনি আরও বলেন, সংসদে যাওয়ার পর বঙ্গবন্ধু কন্যার দোয়া ও আশীর্বাদ পেয়েছি কারণ সারা জীবন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ করে তাই শিখেছি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মুখে মুখে না হৃদয় থাকতে হবে, রক্তে থাকতে হবে। সাধারণ নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের কষ্ট যেখানে হয় সেখানেই দাঁড়াই যাইতে হবে। এমপি হও আর না হও নেতা হও আর না হও মানুষের কষ্টে ফালাইয়া যাওয়া যাবে না, তাইলে মানুষ দাঁড়াইয়া বলবে বঙ্গবন্ধুর রক্তের প্রবাহ মানে ওই লোকটা শরীরে।

তিনি আরও বলেন, সংসদে প্রায় মাসখানেক পূর্বে বক্তব্য দিয়েছিলাম। আমার বক্তব্যের একমাসের ব্যবধানে চায়ের দাম ৪শ টাকা করা হয়েছে। কেমনে হইল? আমি কি জাদু জানি! প্রতিবাদ করতে হবে। আমি চা শ্রমিকদের দুর্দিনে পাশে ছিলাম। এখনও আছি। আর যতদিন আমি বেঁচে থাকব ততদিন পাশেই থাকবো। যদি মারা যাই তাহলে আমার ছেলে-মেয়েদের বলে যাব, তারাও যেন শ্রমিকদের পাশে থাকে।

বুধবার দুপুরে (১লা মে) হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে বাংলাদেশ টি এস্টেট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে সমাবেশে কথাগুলি বলেন তিনি।

চুনারুঘাট উপজেলার মরহুম এনামুল হক মোস্তফা শহীদ অডিটোরিয়াম মাঠে আয়োজিত বাংলাদেশ টি এস্টেট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জাকারিয়া আহমেদের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চুনারুঘাটের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুব আলম মাহবুব, মোহাম্মদ নাহিদুল ইসলাম, উপ পরিচালক ও রেজিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়ন, বিভাগীয় শ্রম দপ্তর, শ্রীমঙ্গল, পুলক রঞ্জন ধর, সম্পাদক, বাংলাদেশ ফ্রি ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস, মো. আমিনুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ টি এস্টেট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন। ইব্রাহিম মিয়া সোহেল, প্রচার সমাজসেবা ও ক্রীড়া সম্পাদক, বাংলাদেশ টি এস্টেট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন, বদরুল আলম, সভাপতি, বালিশিরা পশ্চিমাঞ্চল, বাংলাদেশ টি এস্টেট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন, দেবদাশ ভট্টাচার্য, সভাপতি, লস্করপুর পূর্বাঞ্চল, বাংলাদেশ টি এস্টেট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন, সুনিল বিশ্বাস, সভাপতি, লস্করপুর উত্তরাঞ্চল, বাংলাদেশ টি এস্টেট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন, শ্রীকান্ত আহীর, সম্পাদক, বালিশিরা পশ্চিমাঞ্চল, বাংলাদেশ টি এস্টেট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত