সিলেটটুডে ডেস্ক

১২ ডিসেম্বর, ২০১৯ ২০:৩৩

৪০% শিক্ষার্থীকে প্রযুক্তিগত শিক্ষার দিকে নিয়ে যাওয়া সরকারের লক্ষ্য : পরিকল্পনা মন্ত্রী

পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ. মান্নান বলেছেন, বর্তমান সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে ন্যুনতম ৪০% শিক্ষার্থীকে প্রযুক্তিগত শিক্ষার দিকে নিয়ে যাওয়া। সেই লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে অনেকগুলো প্রযুক্তিগত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। তিনি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার আহবান জানান।

তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পল্লী উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে কাজ করছেন। এখন গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। স্বাস্থ্য সেবা এখন জনগণের হাতের নাগালে।

মন্ত্রী জানান, সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কাজ আগামী এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। এটি শেষ হয়ে গেলে বিমানবন্দরের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকার রাস্তা-ঘাটের কাজও অতি দ্রুত শেষ করা সম্ভব হবে।

তিনি আরো বলেন, রেল সেবার উন্নয়নে অনেকগুলো প্রকল্প বর্তমানে চলমান রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে ডাবল ট্র্যাক রেললাইন চালু করা হবে।

পরিকল্পনা মন্ত্রী জানান, ময়মনসিংহ বিভাগের সাথে যোগাযোগ সহজতর করতে ঢাকা-সুনামগঞ্জ সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকালে চেম্বার কনফারেন্স হলে দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র উদ্যোগে মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সিলেট চেম্বারের সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ. মান্নান এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি শহিদ উল মুনীর।

এতে সিলেট জেলার সকল উপজেলার ৩টি করে স্কুল ও ১টি করে মাদ্রাসা থেকে গত বছরের পিএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জনকারী ৪৮ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি শহিদ উল মুনীর। এছাড়াও বক্তব্য দেন কাস্টম্স এক্সাইজ এন্ড ভ্যাট কমিশনারেট সিলেট এর কমিশনার গোলাম মোহাম্মদ মুনীর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নাছির উল্লাহ্ খান, সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহ সভাপতি চন্দন সাহা, সহ সভাপতি তাহমিন আহমদ ও বৃত্তি সাব কমিটির আহবায়ক মো. সাহিদুর রহমান।

সভাপতির বক্তব্যে সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব বলেন, প্রাথমিক শিক্ষাই হলো শিক্ষার ব্যবস্থার মূল ভিত্তি। কেবলমাত্র শিক্ষার মাধ্যমেই দেশের বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠীকে দক্ষ মানব সম্পদে রূপান্তরিত করে উন্নয়নের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করা সম্ভব। বাংলাদেশ সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে প্রায় শতভাগ শিশুকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করানো সম্ভব হচ্ছে। বর্তমান সরকারের আমলে শিক্ষাখাতে যে সাফল্য অর্জিত হয়েছে তা পূর্বের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশী। বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্ন সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর বিকল্প নেই।

অনুষ্ঠানে সিলেট জেলার ৪৮ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে নগদ অর্থ ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিলেট চেম্বারের সিনিয়র অফিসার মিনতি দেবী।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ, সিলেট চেম্বারের প্রাক্তন সিনিয়র সহ সভাপতি এম. মুহিবুর রহমান, পরিচালক মো. এমদাদ হোসেন, বৃত্তি সাব কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও সিলেট চেম্বারের প্রাক্তন পরিচালক এনামুল কুদ্দুছ চৌধুরী, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ, প্রাক্তন পরিচালক মুকির হোসেন চৌধুরী, সিলেট চেম্বারের সদস্যবৃন্দ, সিলেট প্রেসক্লাব ও সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ, সিলেট জেলার কৃতি শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকবৃন্দ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত