বানিয়াচং প্রতিনিধি

৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৬:৪২

বই উৎসবের জন্য প্রস্তুত বানিয়াচং

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের দুয়ারে এখন কড়া নাড়ছে নতুন শিক্ষাবর্ষ। আর তাদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য সরকার প্রস্তুত রেখেছে প্রায়  ৩৫ কোটির ও বেশি পাঠ্যবই।

বুধবার (১লা জানুয়ারি) দেশজুড়ে পালিত হবে 'জাতীয় পাঠ্যপুস্তক দিবস ও বই উৎসব'। এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বানিয়াচং সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পালিত হবে 'জাতীয় পাঠ্যপুস্তক দিবস ও বই উৎসব'। ওইদিন সকাল ১১ টায় উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত হয়ে তাদের বই নিয়ে হাসিমুখে বাড়িতে ফিরে যাবে।

এ বিষয়ে বানিয়াচং মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কাওছার শোকরানা জানান, শিক্ষার্থীদের চাহিদার সব বই উপজেলার সব স্কুলে পৌঁছে গেছে। তিনি আরও জানান, প্রচন্ড শীতের তীব্রতা আর কুয়াশাকে উপেক্ষা করে প্রতিদিনই স্কুলগুলোতে ঠেলাগাড়ি বা ভ্যানগাড়ি যোগে বিনামূল্যের পাঠ্যবই পৌঁছে যাচ্ছে। সুতরাং, পহেলা জানুয়ারি নির্ধারিত দিনে শিশুদের পাঠ্যবই পাওয়া নিয়ে কোন অনিশ্চয়তা বা সংশয় নেই।

বানিয়াচং এলআর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) জাকির হোসেন জানান, আমাদের স্কুলের প্রায় সব শ্রেণির বই পেয়ে গেছি।

ডা: ইলিয়াছ একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হেমায়েত আলী খান জানান, ইতিমধ্যে প্রায় সব শ্রেণির বই ই পেয়ে গেছি। শিক্ষার্থীদের হাতে তা পৌছে দিতে কোন সমস্যা নাই।

১ জানুয়ারি সকাল ১১ টায় বানিয়াচং সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান অতিথি থেকে 'জাতীয় পাঠ্যপুস্তক দিবস ও বই উৎসব-২০২০ এর শুভ উদ্বোধন করবেন হবিগঞ্জ ২ বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ আসনের সাংসদ এড. আব্দুল মজিদ খান। বিশেষ অতিথি থাকবেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমীর হোসেন মাস্টার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন খান ও উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার কাওছার শোকরানা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুন খন্দকার।

এনসিটিবি সূত্রে পাওয়া তথ্যানুসারে, এবার ২০২০ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য ৩৫ কোটি ৩১ লাখ ৪৪ হাজার ৫৫৪ কপি পাঠ্যবই ছাপা হয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিকের জন্য ৯ কোটি ৮৫ লাখ পাঁচ হাজার ৪৮০ কপি, মাধ্যমিক স্তরের জন্য ২৪ কোটি ৭৭ লাখ ৪২ হাজার ১৭৯ কপি বই ছাপা হয়েছে। ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর ৯৭ হাজার ৫৭২ জন শিশুর জন্য প্রাক-প্রাথমিক, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর জন্য পাঁচটি ভাষায় রচিত দুই লাখ ৩০ হাজার ১০৩ কপি বই ছাপানো হয়েছে। ইবতেদায়ি (মাদরাসার প্রাথমিক) স্তরের ৩২ লাখ ৬৯ হাজার ৭১৫ জন শিশুর জন্য দুই কোটি ৩২ লাখ ৪৩ হাজার ৩৫ কপি বই ছাপানো হয়। সারা দেশের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ৭৫০ জন শিক্ষার্থীর জন্য ছাপানো হয় ৯ হাজার ৫০৪টি বই। এর বাইরে কারিগরি স্তরের জন্য ১৬ লাখ তিন হাজার ৪১১ কপি বই, এসএসসি ভোকেশনালের জন্য ২৭ লাখ ছয় হাজার ২৮ কপি বই এবং দাখিল ভোকেশনাল স্তরের জন্য এক লাখ ৬৭ হাজার ৯৬৫ কপি বই ছাপানো হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত