মাধবপুর প্রতিনিধি

১১ জানুয়ারি, ২০২০ ১৯:৪৩

মাধবপুরে যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ

হবিগঞ্জের মাধবপুরে যৌতুকের জন্য এক গৃহবধূকে ঘরে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনে গৃহবধূর চেহারা থেঁতলে গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্যাতিত গৃহবধূকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরন করে।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) মাধবপুর উপজেলার বৈষ্ণবপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে এ ব্যাপারে গৃহবধূ ফারজানার ভাই শাহাদাত হোসেন নয়ন বাদি হয়ে নির্যাতিত গৃহবধূর স্বামী শফিকুল ইসলাম বাবুলকে প্রধান আসামি করে মাধবপুর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দেবপুর গ্রামের ইয়াকুব আলীর মেয়ে ফারজানা আক্তার হেপিকে ২০১৪ সালের ১৩ জুলাই বিয়ে দেওয়া হয় উপজেলার বৈষ্ণবপুর গ্রামের মৃত ইমতিয়াজ আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম বাবুল এর সঙ্গে। বিয়ের সময় যৌতুক বাবদ নগদ সাড়ে ৩ লাখ টাকাসহ ৫ লাখ টাকার মালামাল দেওয়া হয়। বিয়ের ২ বছর পর বিদেশ যেতে শফিকুল ইসলাম বাবুল ফারজানার পরিবারের নিকট ৩ লাখ টাকা দাবি করেন। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে ফারজানার পরিবার ৩ লাখ টাকা দিয়ে তাকে বিদেশ পাঠান।

বছর তিনেক বাবুল বিদেশ থেকে দেশে চলে আসে। বিদেশ থেকে আসার পর বাবুল বেকার হয়ে গেলে আবার ফারজানাকে তার বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে চাপ দিতে থাকেন। টাকা না দিতে পারায় গত শুক্রবার ফারজানাকে তার স্বামী বাবুল ঘরে আটক রেখে অমানুষিক নির্যাতন করে। এতে ফারজানার মুখ থেঁতলে যায়। চোখের নিচে কাল ফুসকা পরে।

খবর পেয়ে ফারজানার ভাই মাধবপুর থানা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ফারজানার শ^শুর বাড়িতে গিয়ে গৃহবধূ ফারজানাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তখন চিকিৎসক তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

এ ব্যাপারে মাধবপুর থানার ওসি ইকবাল হোসেন জানান, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত