সন্ত্রাস, নারী নির্যাতন রোধ ও আদর্শ সন্তান গঠনে মায়ের ভূমিকা শীর্ষক সচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চললেই প্রত্যেক পরিবারে সুখ-শান্তি আসবে। হবিগঞ্জের প্রতিটি উপজেলায় এখন দাঙ্গা-হাঙ্গামা হ্রাস পেয়েছে বলেই থানায় মামলার প্রবণতা কমেছে। তবে নারী নির্যাতন পর্যাপ্ত পরিমাণে কমেনি।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ, আশা হবিগঞ্জ ও বাহুবল সদর ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে সদর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।

প্রধান অতিথি আরও বলেন, পারিবারিক শান্তি ফিরিয়ে আনতে বউ-শাশুড়ি একে ওপরের সাথে আন্তরিকতা বজায় রেখে চলতে হবে। অল্পবয়সে মেয়েদেরকে বিবাহ দিলে পরিপক্ব সন্তান জন্ম নেয় না। তাই সমাজ থেকে বাল্য বিবাহ রোধ করতে হবে। তিনি অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে মেয়েদের কাছে স্মার্টফোন তুলে না দিতে অনুরোধ করেন। খেয়াল রাখতে হবে আপনার সন্তানরা যেন কোন ভাবেই সিগারেট সেবন না করে। কারণ একটি সিগারেট সকল মাদকের মা-বাবা।

বাহুবল মডেল থানার এসআই এএইচএম মাহমুদের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, বাহুবল সার্কেলের সিনিয়র এএসপি পারভেজ আলম চৌধুরী। আরও বক্তব্য দেন ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আলমগীর কবির, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিলুফার ইয়াছমিন, বাহুবল মডেল প্রেসক্লাব সভাপতি নূরুল ইসলাম নূর, সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ, আশা সমিতির ম্যানেজার কামাল হোসেন খাঁন, ইউপি সদস্য এলাইছ মিয়া, শিল্পী রাণী দেব, সহকারি শিক্ষক রেখা রাণী মালাকা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আশা সমিতি হবিগঞ্জের ডিভিশনাল ম্যানেজার সাজিদুল ইসলাম চৌধুরী।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাওলানা তাজুল ইসলাম, গীতা পাঠ করেন রেখা রাণী মালাকা।