শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি

১৮ জানুয়ারি, ২০২০ ১২:৩৩

সমাজের নানা অসঙ্গতি তুলে ধরে শ্রীমঙ্গলে কবিতার আসর

রাষ্ট্র কর্তৃক অন্যায় অত্যাচার, অবরুদ্ধের সময়ের প্রতিবাদ সমাজের নানা অসঙ্গতি তুলে ধরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে অনুষ্ঠিত হয়েছে নিপীড়ন বিরোধী এই সময়ের কবিতার আসর। সময়ের স্রোতে গা না ভাসিয়ে বিপরীতে দাঁড়িয়ে এক ঝাঁক সৃষ্টিশীল কবি কবিতার অক্ষরে অক্ষরে তুলে ধরেন বর্তমান সময়ের সকল অসঙ্গতিগুলো।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ কৃষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা কমরেড আব্দুল মালিক। উপজেলার সিরাজনগর এলাকায় ‘নিপীড়ন বিরোধী এই সময়ের কবিতা’র আয়োজনে দেশের প্রায় অর্ধশতাধিক কবি ও লেখকরা অংশ নেন।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত গীতিকার হাসান ফকরী’র সভাপতিত্বে ও আয়োজক কবি জাবেদ ভুঁইয়ার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন বিজন সম্মানিত। এসময় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি এ.কে শেরাম, প্রাবন্ধিক মাধব রায়, ঢাকা ট্রিবিউনের মফস্বল সম্পাদক বাদল সাহাআলম, উদীচী সিলেট জেলা সংসদের সভাপতি এনায়েত হাসান মানিক, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম, মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সালেহ এলাহী কুটি, মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান টিপু, নারায়ণগঞ্জ সমাজ অনুশীলন কেন্দ্রের সংগঠক রঘু অভিজিৎ রায় প্রমুখ।

এসময় প্রতিবাদী কবিতা পাঠ করেন কবি শহীদ সাগ্নিক, কবি রহিস মুকুল, কবি আসমা বেগম, কবি মোস্তাফা শৈবাল, কবি বিল্লাল হোসেন, কবি কাজী বর্ণাঢ্য, কবি আতি বণিক প্রমুখ।

কবিরা তাদের বক্তব্যে বলেন, বর্তমানে দেশে ফ্যাসিবাদী শাসন চলছে। মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি করে সরকার মানুষকে রাস্তায় নামাচ্ছে। বিভিন্ন কাল আইনের মাধ্যমে মানুষের বাক স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে। ডিজিটাল আইনের ফাঁদে মানুষ প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছে। ক্রস ফায়ারের নামে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড দেশে বন্ধ হচ্ছে না। রাষ্ট্রের এই অন্যায়-অত্যাচার, অনিয়ম, দুর্নীতি, ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী, হিংসা, রক্তক্ষয়ের বিরুদ্ধে মানুষ প্রতিবাদ করতে গেলে মানুষ এখন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। পুলিশ দেখলে স্বস্তি আসার কথা। কিন্তু রাত-দুপুরে নয়, দিবালোকে পুলিশ কড়া নাড়লে আতঙ্ক ফুলে ফেঁপে ওঠে সাধারণ জনগণের মাঝে।

কবিরা আরও বলেন, মানুষ যখন কথা বলতে পারে না, কথা ভুলে যান, কবিরা তখন ফুঁসে ওঠেন। কবিতার শব্দ ঝাঁঝালো হয়ে ওঠে। কবিরাই কবিতায় দেশ থেকে অন্ধকার তাড়ানোর জন্য মশাল জ্বালান। কবিতা মানুষের মাঝে সাহস যোগায়। শাসকের ভীতে নাড়া দেয় কবিতা। এ সময় কবিতার মাধ্যমে প্রতিবাদের ভাষাকে শানিত করার আহ্বান জানান কবিরা।

রাতে রাজনৈতিক খসড়া ঘোষণাপত্র পাঠ করেন বিজন সম্মানিত ৷

আপনার মন্তব্য

আলোচিত