নিজস্ব প্রতিবেদক

১৮ জানুয়ারি, ২০২০ ১৩:৫২

সিলেটে প্রথমবারের মতো শুরু হল জাতীয় পিঠা উৎসব

সিলেটে প্রথম বারের মতো শুরু হয়েছে ৪ দিনব্যাপী জাতীয় পিঠা উৎসব। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) নগরীর রিকাবীবাজারস্থ জেলা ক্রীড়া সংস্থা প্রাঙ্গণের বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। উৎসবে বর্ণিলভাবে সজ্জিত স্টলে রয়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী পিঠার সমারোহ।

উৎসবের উদ্বোধন করেন জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ম. হামিদ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি।

বাঙ্গালির হাজার বছরের পিঠা ঐতিহ্যকে নগরজীবনে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদ বিগত ১৩ বছর ধরে বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে রাজধানী ঢাকায় জাতীয় পিঠা উৎসব আয়োজন করে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় এ বছর প্রথমবারের মতো এই উৎসব দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে ঢাকার বাইরে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। যার প্রথম আয়োজন অনুষ্ঠিত হলো পুণ্যভূমি সিলেটে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সিলেটের সংস্কৃতি অত্যন্ত বৈচিত্র্যময়। এখানে বিভিন্ন নৃগোষ্ঠী থেকে শুরু করে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের যে সংমিশ্রণ, সম্প্রীতি যা আমাদের এক অনন্য বৈশিষ্ট্য। এই পিঠা উৎসবেও আমরা সেই সম্প্রীতি তুলে ধরব। সিলেট সবসময়ই শান্তি, সম্প্রীতির নগরী। দল, মত, ধর্ম এবং বিভিন্ন সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে আমরা একসাথে কাজ করি। এই জিনিসটা আমরা সবসময় ধরে রাখতে চাই।

তিনি আরও বলেন, এবছর আমরা মুজিব বর্ষ এবং আগামী বছর মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবো, আমার প্রত্যাশা সারাদেশের তুলনায় এই দুটি অনুষ্ঠানকে ঘিরে সিলেটের যেন সারাদেশের মধ্যে অদ্বিতীয় হয়, অত্যন্ত সুন্দর হয়। এই আয়োজনে যত ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন তিনি করবেন বলেও আশ্বাস দেন।

উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,  জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শাহ আলম, সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম, সিসিক কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, সিলেট উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি স্বর্ণলতা রায় প্রমুখ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মিলিত আবৃত্তি, সম্মিলিত সংগীত, সম্মিলিত নৃত্য ছাড়াও প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পিঠা উৎসবে থাকছে বর্ণাঢ্য দলীয় আবৃত্তি, গান, নাচ, নাটকসহ নানা সাংস্কৃতিক আয়োজন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত