নিজস্ব প্রতিবেদক

১৮ জানুয়ারি, ২০২০ ১৯:২৯

টিলাগড়ে দুর্ঘটনা : আহত আরেক কলেজ ছাত্রের মৃত্যু

সিলেট নগরীর টিলাগড়ে ‘বেপরোয়া গতিতে’ চালানো প্রাইভেট কার উল্টে আহতদের মধ্যে আরিফুল ইসলাম রুবেল (২৬) নামে আরেক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২জনে দাঁড়ালো।

এর আগে শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে  ‘বেপরোয়া গতিতে’ চালানো প্রাইভেট কারটি এমসি কলেজের পেছনের ফটকসংলগ্ন সড়কের একটি গতিরোধকে ধাক্কা লেগে প্রাইভেটকারটি উল্টে যায়। এ সময় প্রাইভেট কারের চালক মাহের, মেহরাব, নয়ন দাস এবং রুবেল গুরুতর আহত হন।

পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা নয়নকে মৃত ঘোষণা করেন এবং রুবেলের শারীরিক অবস্থায় অবনতি হতে থাকলে চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করেন। সেখানেই আজ শনিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শাহপরান থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে বেপরোয়াভাবে চালানোর কারণে প্রাইভেটকারটি উল্টে যায়। এতে প্রাইভেটকারের ভেতরে থাকা  চালক মাহের, মেহরাব, নয়ন ও রুবেল আহত হন। তাদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে নয়নকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। রাতে রুবেলকে ঢাকায় পাঠানো হয়। শনিবার সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রুবেল মারা যান। পুলিশ প্রাইভেটকারটি উদ্ধার করেছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বিক্ষোভ করেছেন মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। শনিবার দুপুরে কলেজের পেছনের ফটকের টিলাগড়-আম্বরখানা-বিমানবন্দর সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশ ও কলেজ প্রশাসন সেখানে গিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দেয়। পরে তারা অবরোধ তুলে নেয়।

বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, কলেজের অদূরে টিলাগড় থেকে আম্বরখানা সড়কে একটি ইনস্টিটিউটের সামনে কয়েক দিন আগে হঠাৎ করে গতিরোধক বসানো হয়। গতিরোধকের উচ্চতা নিয়ম মেনে করা হয়নি। আর এই গতিরোধকের কারণে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে প্রাইভেট কার। এতে তারা হারিয়েছেন দুই সহপাঠীকে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত