জাহিদ উদ্দিন, গোলাপগঞ্জ

০৪ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০১

ভালো নেই গোলাপগঞ্জের নিম্ন আয়ের মানুষেরা

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে বাঁচাতে ও এর সংক্রমণ রোধে সরকারের নির্দেশে যখন দেশের মানুষ ঘরে অবস্থান করছেন, তখন বিপাকে পড়েছে সিলেটের গোলাপগঞ্জের নিম্ন আয়ের মানুষেরা। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে সারা দেশের মানুষ এখন ঘরমুখো। প্রয়োজন ছাড়া কেউই বের হচ্ছে না ঘরের বাহিরে।

এমন সংকটময় মূহুর্তে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পরেছে গোলাপগঞ্জের হাওর পারের নিম্ন আয়ের ও দিনমজুরেরা। ইতোমধ্যে কর্মহীন হয়ে পরেছে বিরাট একটি সংখ্যা। যদিও নিম্ন আয়ের এ সকল মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা প্রশাসন। তারপরও প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল।

এদিকে সরকারের বরাদ্দকৃত খাদ্যসামগ্রী কর্মহীন এ সকল নিম্ন আয়ের মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এ ছাড়াও অনেক সামাজিক সংগঠন ও অনেক বিত্তবান তাদের নিজ উদ্যোগে এ সব অসহায় হতদরিদ্রদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। কিন্তু উপজেলার শরিফগঞ্জ ইউনিয়নের একটি অংশ হাকালুকি হাওর পারের বাসিন্দারা অসহায় ও মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েকজন কিছু ত্রাণ পেলেও হতদরিদ্রদের সংখ্যার বেশি হওয়ায় এখনো বেশিরভাগ মানুষ রয়েছেন ত্রাণ বঞ্চিত। কোন সামাজিক সংগঠন বা বৃত্তবানদের ত্রাণ তাদের ভাগ্যে জোটছেনা। এতে করে হাকালুকি পারের নিম্ন আয়ের লোকজন মানবেতর জীবন যাপন করছে।

হাওর এলাকার কালীকৃষ্ণ পুর গ্রামের বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন সিরাজী জানান, উপজেলা প্রশাসনের অল্প ত্রাণ কিছু লোক পেলেও কোন সংগঠন বা বৃত্তবান হাওরপারের কর্মহীন অসহায় লোকদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেনি।

আরেক স্থানীয় বাসিন্দা দুদু মিয়া জানান, হাওর এলাকার অনেক লোক পৌর শহর সহ বিভিন্ন স্থানে গিয়ে কাজ করতো। করোনা ভাইরাসের কারণে সব কিছু বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা আজ বাড়ি থেকে বের হতে পারছেনা। অনেকে খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুনুর রহমান জানান, সরকারের অল্প ত্রাণসামগ্রী থেকে আজ শরীফগঞ্জ ইউনিয়নে ২০০ জন হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ত্রাণ কম হওয়ায় সকলকে তা দেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। তিনি হাওরপারের হতদরিদ্র মানুষের সাহায্যের জন্য সকল বৃত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত