জাহাঙ্গীর আলম খায়ের, বিশ্বনাথ

০৯ এপ্রিল, ২০২০ ২১:১০

বিশ্বনাথে করোনার উপসর্গ নিয়ে শিশুর মৃত্যু, ৫ বাড়ি লকডাউন

সিলেটের বিশ্বনাথে জ্বর সর্দি-কাশি ও শ্বাসকস্টে ১০ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের উপস্থিতিতে মামার বাড়িতে এই শিশুর লাশ দাফন করা হয়েছে।

বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ধীতপুর গ্রামের তার মামা তাকে সিলেট ওসমামনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এর আগে ওইদিন সন্ধ্যায় শিশুটির জ্বর ও শ্বাসকস্ট বেড়ে গেলে পার্শ্ববর্তি ওসমানীনগর উপজেলার বড়ধিরারাই গ্রাম থেকে শিশুটির খালু তাকে অটোরিকশায় করে মামার বাড়ি বিশ্বনাথের ধীতপুরে রেখে যান বলে জানা গেছে।

তবে, তার মামা ও খালুর দাবি, শিশুটি র্দীর্ঘ ৭ বছর ধরে কিডনি রোগে আক্রান্ত ছিল এবং ওই রোগেই সে মারা গেছে। শিশুটির বাবার বাড়ি সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার জলসী গ্রামে এবং তার মা উমানে থাকেন বলেও জানান তারা।

এদিকে, শিশুটির মৃত্যুর পর করোনাভাইরাসে মারা যাওয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এমন খবরে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো: কামরুজ্জামান, সদস্য-সচিব ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আব্দুর রহমান মুসাসহ মেডিকেল টিম ওই শিশুর নমুনা সংগ্রহ করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। এসময় শিশুটির মামার পরিবারসহ আরও ৫টি বাড়ি লকডাউন করে তাদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বড়ধিরারাই গ্রামের ইউপি সদস্যসহ বেশ ক’জন বলেন, ওই শিশুটি ও তার ৮বছর বয়সী ছোটবোন দীর্ঘদিন থেকে ওসমানী নগরের বড়ধিরারাই তাদের খালার বাড়িতে বসবাস করে আসছে। বর্তমানে তার ছোটবোনও সর্দি-কাশি ও জ্বরে ভোগছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহনেওয়াজ চৌধুরী সেলিম বলেন, শিশুটির দাফনের আগে নামাজের জানাজায় ইমামতি করেন উপজেলার জানাইয়া জুম্মা বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা সিরাজুল ইসলাম। আর জানাজার নামাজে উপজেলা জামে মসজিদের সহকারী (ছানী) ইমাম মাওলানা লায়েক আহমদ, পূর্ব চান্দশীরকাপন গ্রামস্থ সহজ কোরআন শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক আবদুল জলিল ও শিশুর মামা উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আব্দুর রহমান মুসা বলেন, শিশুটি ও তার পরিচর্চাকারী মামার নমুনা সংগ্রগ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেতে একদিন সময় লাগবে বলেও জানান তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো: কামরুজ্জামান বলেন, শিশুটি কোথায় থাকতো সেটা তারা জানেন না। শিশুটি যদি তার খালুর বাড়িতে থেকে থাকে তাহলে তাদেরকেও আইসোলেশনে থাকা প্রয়োজন। হয়তবা তারা তথ্য গোপন করেছেন। তবে, জরুরী ভিত্তিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত