নিজস্ব প্রতিবেদক

০৯ এপ্রিল, ২০২০ ২৩:৩৭

শামসুদ্দিন হাসপাতালে এলো ৯টি ভেন্টিলেটর

সিলেটে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত শহিদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে এসেছে আরও ৯টি ভেন্টিলেটর। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এগুলো হাসপাতালে এসে পৌঁছে। শুক্রবার থেকে শুরু হবে ভেন্টিলেটরগুলো স্থাপনের কাজ। তবে এগুলো চালু করতে আরও ১০/১২ দিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

দেশে করোনা সংক্রমণের পর সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালকে করোনা আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। করোনা সন্দেহভাজন রোগীদের এই হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছে। ১০০ শয্যার এই হাসপাতালে ভেন্টিলেটরসহ দুটি আইসিইউ ইউনিট রয়েছে। তবে সিলেটে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া একমাত্র রোগীকেই বুধবার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। ফলে শামসুদ্দিন হাসপাতালের সক্ষমতা নিয়েই প্রশ্ন ওঠেছে। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার আরও ৯টি ভেন্টিলেটর যুক্ত হলো এ হাসপাতালে।

শামসুদ্দিন হাসপাতালে আইসিইউ এবং ভেন্টিলেটর পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষিত লোকবল না থাকারও অভিযোগ ওঠেছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, ভেন্টিলেটর পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণের মাধ্যমে লোকবল প্রস্তুত করা হচ্ছে।

সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সুশান্ত মহাপাত্র বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় নতুন ৯টি ভেন্টিলেটর হাসপাতালে এসে পৌঁছেছে। তিনি বলেন, করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য নেগেটিভ প্রেশারের ভেন্টিলেটর প্রয়োজন হয়। নতুন আসা ভেন্টিলেটরগুলো নেগেটিভ প্রেশারের।

তবে নতুন ভেন্টিলেটর এলেও এই হাসপাতালে নেই সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট। ফলে কয়েকটি বড় অক্সিজেন সিলিন্ডারকে একত্রে করে একটি ভেন্টিলেটরে কানেকশন দেওয়া হচ্ছে। এরকম ৪টি সিলিন্ডার সিস্টেম দিয়ে শামসুদ্দীন হাসপাতালে ২টি ভেন্টিলেটর স্থাপন করা হয়েছে। একই পদ্ধতিতে বাকী ৯টি ভেন্টিলেটরও স্থাপন করা হবে।

এ ব্যাপারে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোরকে বলেন, ভেন্টিলেটর অপারেট করার জন্য আমরা প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সাধারণত রোগী দেখে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা দিয়ে যান। মনিটরিংয়ে একজন চিকিৎসক থাকেন। কিন্তু সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আমাদের নার্সিং স্টাফরা থাকেন। আমরা নার্সিং স্টাফদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ জন নার্সকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আরও ২০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। আমরা ক্রমান্বয়ে সবাইকে আইসিইউ ম্যানেজমেন্টে প্রশিক্ষণ প্রদান করবো। কারণ কার কখন কোথায় প্রয়োজন হয় বলা মুশকিল।

তিনি বলেন, শামসুদ্দিন হাসপাতালে সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা হচ্ছে এখানে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট নেই। এখন ভেন্টিলেটরে যে অক্সিজেন আসে তার পরিমাণ সাধারণ রোগীকে যে অক্সিজেন দেওয়া হয় তার চেয়ে অনেক বেশি। যার জন্য এখানে ৫ থেকে ৬টি বড় অক্সিজেন সিলিন্ডারকে একত্রে করে একটি ভেন্টিলেটরে কানেকশন দেওয়া হচ্ছে।

ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, ভেন্টিলেটর চালানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন সিলিন্ডার আমরা মজুদ করেছি। এখন চাইলেই কালকের মধ্যে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট এখানে বসানো যাবে না। কারণ বর্তমানে দেশে এই ব্যবস্থা নেই। এখন প্রকৌশলী বিভাগ থেকে শুরু করে কাউকে পাবেন না। বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোনো ঠিকাদার এখানে কাজ করতে আসবে না।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত