বেনাপোল প্রতিনিধি

০৯ ডিসেম্বর, ২০২০ ২৩:৪৭

বেনাপোল কাস্টমসে ৫ মাসে রাজস্ব ঘাটতি হাজার কোটি টাকা

যশোরের বেনাপোল কাস্টমস হাউজে চলতি ২০২০-২১ অর্থ বছরের গত ৫ মাসে রাজস্ব আয়ের ২ হাজার ৫০৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৫০৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। এখানে ঘাটতি হয়েছে ৯৯৯ কোটি ৯ লাখ টাকা। এসময় শুল্কফাঁকির অভিযোগে ৮ টি সিঅ্যান্ডএফ লাইসেন্স বাতিল ও তিন কাস্টমস কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বছর শেষে আরও বড় ধরনের রাজস্ব ঘাটতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এরআগে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে বেনাপোল কাস্টমসে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব ঘাটতি হয়েছিল ৩ হাজার ৩৯২ কোটি টাকা। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার ২৪৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা।

বুধবার সকালে বেনাপোল কাস্টমস হাউজের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

বাতিল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা হলেন- মেসার্স রিমু এন্টারপ্রাইজ, তালুকদার এন্টারপ্রাইজ, এশিয়া এন্টারপ্রাইজ, মাহিবি এন্টারপ্রাইজ, সানি ইন্টারন্যাশনাল, মদিনা এন্টারপ্রাইজ, মুক্তি এন্টারপ্রাইজ ও রিয়াংকা এন্টারপ্রাইজ। রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে বহিস্কৃত কাস্টমস কর্মকর্তারা হলেন- রাজস্ব কর্মকর্তা নাশেদুল ইসলাম, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আশাদুল্লাহ ও ইবনে নোমান।

জানা যায়, গেল কয়েক বছর ধরে বেনাপোল বন্দরে ব্যাপক হারে মিথ্যা ঘোষণায় শুল্কফাঁকি দিয়ে পণ্য আমদানি বেড়ে যাওয়ায় কোনভাবে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হচ্ছেনা। কাস্টমস ও বন্দরের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন কৌশলে দিচ্ছেন এ শুল্ক ফাঁকি। গত মাসেই শুল্কফাঁকির অভিযোগে কাস্টমস কর্মকর্তারা ৮ টি সিঅ্যান্ডএফ লাইসেন্স বাতিল ও ৪ সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। এছাড়া কাস্টমসের তিন রাজস্ব কর্মকর্তাকেও শুল্কফাঁকিতে সহযোগিতার অভিযোগে শাস্তিমূলক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে হাতেগোণা কয়েকজন ধরা পড়লেও অধিকাংশ দুর্নীতিবাজরা থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। ফলে কোনভাবে রোধ হচ্ছেনা শুল্কফাঁকি দিয়ে পণ্য আমদানি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত