সিলেটটুডে ডেস্ক

০৫ মার্চ, ২০২৩ ২১:৩৫

হামলার শিকার ইসলামী বক্তা, জিহবার একাংশ কেটে যাওয়ার অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ওয়াজ মাহফিলে বক্তব্য দিয়ে ফেরার পথে এক ইসলামী বক্তার ওপর হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা ওই ইসলামী বক্তার জিহ্বার একাংশ কেটে যাওয়ার অভিযোগ ওঠেছে।

শনিবার (৪ মার্চ) মধ্যরাতে উপজেলার আজমপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ওই বক্তার নাম মাওলানা শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া (৩৬)। তিনি বিজয়নগর উপজেলার শ্রীপুর ইসলামীয়া ফাজিল মাদ্রাসার আরবি বিভাগের প্রভাষক। তিনি সদর উপজেলার চাপুইর গ্রামের মাওলানা আব্দুর রশিদ ভূঁইয়ার ছেলে।

আহত ইসলামী বক্তার স্বজনরা জানান, শনিবার রাতে বিজয়নগরের দৌলতবাড়ি এলাকায় মাহফিলে অংশ নেন মাওলানা শরিফুল। ওই মাহফিলে তিনি ধর্মীয় একটি সম্প্রদায়ের সমালোচনা করে বক্তব্য দেন বলে জানা যায়। মাহফিল শেষে মধ্যরাতে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে আখাউড়ার আজমপুর রেলস্টেশন এলাকায় অজ্ঞাত কয়েকজন যুবক তার গতিরোধ করে হামলা চালায়। এ সময় শরিফুলের জিহ্বা ও ঠোঁটের অনেকটা অংশ কেটে যায়। এ ছাড়া লাঠিসোঁটা দিয়ে তাকে মারধর করারও অভিযোগ ওঠে। এ সময় মোটরসাইকেলে মাওলানা শরিফুলের সঙ্গে থাকা ওবায়দুল্লাহ (৩৪) নামে একজন আহত হয়েছেন।

শ্রীপুর ইসলামীয়া ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক (আরবি) মাওলানা আবুল কালাম আজাদ জানান, দৌলতবাড়ি মাহফিলে মাওলানা শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া বক্তব্য দিয়েছিলেন। মাহফিলে শেষে এক ভাগ্নের সঙ্গে মোটরসাইকেলে ফেরার পথে একদল যুবক তার ওপর হামলা করে। তখন তিনি চিৎকার করলে আশপাশ থেকে মানুষ এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এরপর সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।

আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘শরিফুল ইসলাম ইসলামপন্থি আরেকটি দলের বিপক্ষে বক্তব্য রাখায় বাড়ি ফেরার পথে তাকে হামলা করা হয়েছে– এমন খবর আমরা শুনেছি। তবে তার পক্ষে এখনও থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। তবে আমি তার স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে থানায় অভিযোগ দেওয়ার কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন, শরিফুল ইসলাম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমরা এ ব্যাপারে মামলা গ্রহণ করবো। তার স্বজনরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মাদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। ওই বক্তাকে একদল যুবক চড়-থাপ্পড় মেরেছে। এ সময় তার জিহ্বা কেটে গেছে। কী কারণে মেরেছে, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। তাকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত