সিলেটটুডে ডেস্ক

১৬ মে, ২০২৩ ০২:০০

কনজারভেন্সি বিভাগের সঙ্গে রাসিক মেয়রের মতবিনিময়

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) কনজারভেন্সি বিভাগের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার বিকাল চারটা হতে বিকাল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। সভাপতিত্ব করেন রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, সবচেয়ে কঠিনতম কাজটি আপনারা করেন। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা সব মৌসুমে আপনারা কাজ করেন। আপনাদের এ কাজটির কারণে রাজশাহী আজ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে দক্ষিণ এশিয়া ও সারাবিশ্বে প্রশংসার বিন্দুতে পরিণত হয়েছে। আর এ সকল কৃতিত্ব আপনাদের। বৃক্ষরোপণে তৃতীয় বারের মত রাজশাহী সিটি করপোরেশন পরিবেশ পদক অর্জন করছে। এই অর্জন আপনাদের সকলের।

তিনি আরও বলেন, ২০০৮ হতে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রথম মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করি। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে মেয়র রাজশাহীবাসী একটি ভুল সিদ্ধান্তে অনেক পিছিয়ে যায়। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড মুখ থুবড়ে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মিত বেতন প্রদানের বিষয়টি অনিশ্চয়তা চলে যায়। আমি দায়িত্ব না থাকা অবস্থায় এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। নিয়মিত বেতন প্রদানের ব্যবস্থা করি।

রাসিক মেয়র বলেন, ২০১৮ সালে ৩০ জুলাই নির্বাচিত হয়ে ৫ অক্টোবর দায়িত্ব গ্রহণ করি। ২০১৯ সালে রাজশাহীর উন্নয়নে সর্ববৃহৎ তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্প মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দেন। তা দিয়েই রাজশাহী মহানগরীর উন্নয়নে কাজ চলমান রয়েছে। করোনার কারণে সারাবিশ্বে স্থবিরতা দেখা দিলে রাজশাহীর উন্নয়ন কাজের গতি কমে যায়। তখন করোনা মোকাবেলায় ব্যস্ত হয়ে পড়ি।

তিনি আরও বলেন, সন্তানদের তথ্য প্রযুক্তিগত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। আইটি সেক্টরে রয়েছে অভাবনীয় সম্ভাবনা সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নগরীর ১০টি স্থানে স্বল্পখরচে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। অস্থায়ী কর্মচারীদের কল্যাণে তহবিল গঠন করা হবে। কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে এক লাখ টাকা সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

সভায় বক্তব্য দেন রাসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মোঃ মামুন ডলার, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা সেলিম রেজা রঞ্জু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ উন্নয়ন কর্মকর্তা সৈয়দ মাহমুদ উল ইসলাম, ত্রাণ কর্মকর্তা জুবায়ের হোসেন মুন, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা (মনিটরিং) সাজ্জাদ হোসেন, পরিচ্ছন্ন পরিদর্শক মোফাজ্জেল হোসেন মাকু, রাসিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি দুলাল শেখ, সাধারণ সম্পাদক আজমীর আহম্মদ মামুন। উন্মুক্ত আলোচনায় পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মচারীবৃন্দ অংশ নেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত