সিলেটটুডে ডেস্ক

২১ নভেম্বর, ২০১৬ ১৬:৪২

‘মিয়ানমারে গণহত্যার বিরুদ্ধে জাগ্রত হতে হবে’

মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের গণহত্যা, নির্যাতন নিপীড়ন, বাড়ী ঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া বলেছেন, মায়ানমারের গণহত্যার বিষয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের শান্তিকামী দেগুলোর ভূমিকা বিশ্বকে হতাশ করেছে। এই অবস্থায় প্রমাণিত হচ্ছে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ‘খামোশ’ উচ্চারণটা আজ কতটাই প্রয়োজন। তিনি বলেন, মওলানা ভাসানীর প্রদর্শিত পথেই আজ মায়ানমারের অসহায় মুসলমানদের পক্ষে আমাদের দাঁড়ানো প্রয়োজন।

এম. গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া আজ সোমবার বিকালে নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে ‘মায়ানমারে রহিঙ্গা মুসলমানদের গণহত্যার প্রতিবাদে’ বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর আয়োজিত সভায় প্রধান বক্তা হিসাবে তিনি বক্তব্য রাখেন। ন্যাপ নগর আহবায়ক সৈয়দ শাহজাহান সাজুর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান কাজী ফারুক হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মোঃ নুরুল আমান চৌধুরী, সম্পাদক মোঃ কামাল ভুঁইয়া, মতিয়ারা চৌধুরী মিনু, নগর যুগ্ম আহবায়ক সদস্য সচিব মোঃ শহীদুননবী ডাবলু, যুগ্ম আহবায়ক আনছার রহমান শিকদার, অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, বাসন্তী বরুয়া বাবলী, বাংলাদেশ যুব ন্যাপ যুগ্ম সমন্বয়কারী জিল্লুর রহমান পলাশ, জাতীয় ছাত্র কেন্দ্রের যুগ্ম সমন্বয়কারী সোলায়মান সোহেল, আলী নূর নাদিম প্রমুখ।

এম. গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া এ সময় আরো বলেন, মিয়ানমার সকল আন্তর্জাতিক রীতিনীতি, মানবতা-মানবাধিকারকে পদদলিত করে অব্যাহত ভাবে মুসলমানদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের স্টিম রোলার চালাচ্ছে। আর মানবাধিকারের ধজাধারিরাসহ জাতিসংঘ, ওআইসি ও আরব লীগ গনহত্যাযজ্ঞের ব্যাপারে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে যা সত্যিই উদ্বেগজনক। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকারের উদাসীনতা ও অবহেলায় সমগ্র দেশবাসী চরমভাবে ক্ষুব্ধ। সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর ও শক্ত তৎপরতা না থাকায় মায়ানমার সরকারের মুসলিম বিদ্বেষী বর্ণবাদই নীতিতে কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটছে না। মুসলিম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন ও সাম্প্রদায়িক আগ্রাসনের নেতিবাচক প্রভাব আশপাশের মুসলিম দেশগুলোর ওপরও পড়ছে। এর পরিণতিতে বিশেষত বাংলাদেশে রাজনৈতিক কায়েমি স্বার্থান্বেষীরা যাতে কোনোভাবেই এখানকার সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা উস্কে দিয়ে তথাকথিত জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদের জিগির তোলার সুযোগ না পায়, সেদিকে জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়াও রাষ্ট্রহীন অসহায় রোহিঙ্গাদের একটি অংশ মানবপাচারকারী চক্রের খপ্পরে পড়ে নিষ্ঠুর মানবেতর জীবনযাপন করছে। এসব অসহায় বিপন্ন উদ্বাস্তুদেরকে অনতিবিলম্বে জাতিসংঘের উদ্বাস্তু আইন ও নীতিমালা অনুযায়ী জরুরী সহায়তা দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ শাহজাহান সাজু এসময়ে বলেন, ইতিমধ্যেই মায়ানমারে মুসলিম গণহত্যার যে চিত্র ফটে উঠেছে তাতে সমগ্র বিশ্ববাসী লজ্জিত। মানবতা আর মানবাধিকার পদদলিত। সারা বিশ্ব থেকে এই হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় উঠলেও এখন পর্যন্ত জাতিসংঘ এই গণহত্যা বন্ধ ও তাদের অধিকার রক্ষায় কার্যকর কোন ভূমিকা রাখেনি। একই সাথে ওআইসি’ও এগিয়ে আসেনি। যা গণহত্যাকে নীরব সমর্থনের শামিল। আর যাই হোক এ বিষয়ে মুসলিম বিশ্বের নিষ্ক্রিয়তা অত্যন্ত অমানবিক ও লজ্জাজনক। তিনি জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংস্থা ও বিশ্ববাসীকে এই বর্বরতার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত