সিলেটটুডে ডেস্ক

২৫ অক্টোবর, ২০১৭ ১৫:৩৬

গাজীপুরে কলেজছাত্র হত্যা: ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড

গাজীপুরের শাহাদাত হোসেন সোহাগ নামে এক কলেজছাত্রকে হত্যার দায়ে ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক ফজলে এলাহী ভূঁইয়া এ আদেশ দেন।

এ ছাড়া অন্য একটি ধারায় প্রত্যেককে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড, ১ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং আরেকটি ধারায় ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো, গাজীপুর মহানগরের নিয়ামত সড়ক এলাকার শামসুল হকের ছেলে সেলিম ও একই এলাকার আব্দুল সোবহানের ছেলে আসাদুল ইসলাম, উত্তর ছায়াবীথি এলাকার নাজমুল হকের ছেলে জহিরুল ইসলাম ওরফে জাকির হোসেন ওরফে জন্টু, বিলাশপুর এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে জুয়েল, শেরপুরের ঝিনাইগাতি থানার বাঘেরভিটা এলাকার বাক্কা মিয়ার ছেলে বাক্কা সুমন, দক্ষিণ ছায়াবীথী এলাকার মো. আ. মালেকের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম ওরফে প্রিতম ওরফে প্রিতু ওরফে ইতু, রথখোলা এলাকার সিদ্দিকের ছেলে আরিফ, সামন্তপুর এলাকার লেহাজ উদ্দিনের ছেলে মো. হানিফ এবং উত্তরবিলাশপুর এলাকার মৃত আইয়ুর আলীর ছেলে রিপন আহমেদ জুয়েল।

এদের মধ্যে সেলিম, হানিফ, জুয়েল এবং আসাদুল ইসলাম পলাতক রয়েছে। রায় ঘোষণার সময় বাকি ৫ জনই উপস্থিত ছিল।

গাজীপুর আদালতের এপিপি মো. আতাউর রহমান জানান, সোহাগ গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল। ২০১০ সালের ৮ জানুয়ারি সোহাগের বন্ধু বিহন কায়সার ফোন করে তাকে জেলা শহরের রাজবাড়ি মাঠে আসতে বলে। সোহগ তার বন্ধু নাহিদকে সাথে নিয়ে ওই মাঠে গিয়ে বিহন কায়সার, তার স্ত্রী আখি, হানিফ ও আসামিদের দেখতে পায়।

সেখানে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আসামিরা ছুরি, কিরিচ, ক্রিকেটের স্ট্যাম্প ইত্যাদি নিয়ে সোহাগসহ তাদের ওপর হামলা করে। আসামিরা ছুরি দিয়ে সোহাগকে আঘাত করে। আহতাবস্থায় তাকে রিকশাযোগে হাসপাতালে নেয়ার পথে আবার হামলা ও ছুরিকাঘাত করে। পরে সোহাগকে হাসপাতালে নিলে কতর্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় সোহাগের পালিত বাবা আবুল হাসেম সুফি বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত