গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

১৬ নভেম্বর, ২০১৭ ১৪:৫৮

গোপালগঞ্জে আমন ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

প্রকৃতির চিরাচরিত নিয়মে হেমন্তে সোনালী ধানের মিষ্টি গন্ধে মেতে উঠেছে বাংলার জনপদ। মাঠে মাঠে এখন রোপা আমন ধান কাটা ও মাড়াই পুরোদমে শুরু হয়েছে। গোপালগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষাণ-কৃষাণীরা। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় নির্বিঘ্নে ধান কাটা-মাড়াই কাজ করছে কৃষক। কৃষি বিভাগের দাবি, ধান উৎপাদনের এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে।

গোপালগঞ্জে এবার অধিকাংশ জমিতেই রোপা আমন ধানের চাষ হয়েছে। মাঠে মাঠে পাকা ধান কাটার ধুম পড়েছে। ধান কাটাতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক। ইতোমধ্যে প্রায় ২৫ শতাংশ জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। কৃষকের আঙিনা ভরে উঠছে সোনালি ধানে, মুখে ফুটেছে উঠেছে হাসির ঝিলিক।

এদিকে ফসলের মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠছে সারা বাড়ি। উঠানে ছড়ানো সোনালি ধান। সাথে আনন্দের বন্যা। কয়েক দিন পরে ঘরে ঘরে হবে নবান্ন উৎসব। কন্যা-জায়া-জননীর ব্যস্ততা এখন দিনরাত।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের দিঘারকুল গ্রামের কৃষক দয়াল চন্দ্র বালা জানান, তিনি আট বিঘা জমিতে চাষ করেছেন আমন ধানের। ধান কাটা শুরু হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সব ধান ঘরে চলে আসবে।

কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দি গ্রামের কৃষক রতন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, তিন বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করে ছিলাম। ফলন ভাল হয়েছে। দামও পেয়েছি ভাল। প্রতি বছর ধান উঠার সময় দাম পড়ে যায়। কিন্তু এবার দাম পড়েনি। এ জন্য কৃষকদের খুব বেশি লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গিমাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, মাঠে মাঠে আমন ধান কাটা উৎসব শুরু হয়েছে। এরপর নতুন ধানের চালের গুড়ায় ঘরে ঘরে নবান্ন উৎসব হবে।

গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সমীর কুমার গোস্বামী বলেন, জেলায় আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। কৃষকরা আগামী ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে সব ধান ঘরে তুলতে পারবে। অকালে ভারি বর্ষণে ফসলের কিছুটা ক্ষতি হলেও এ বছর ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত