সিলেটটুডে ডেস্ক

২০ নভেম্বর, ২০১৭ ১১:১৫

সাতক্ষীরায় আওয়ামী লীগ নেতা‌কে গলা কেটে হত্যা

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় সোলেমান গাজী (৪০) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।

রোববার (১৯ নভেম্বর) গভীর রাতে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কৈখালী গ্রামে হাওড়া নদীর বেড়িবাঁধের ওপর এ ঘটনা ঘটে।

তিনি সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার ঝায়ামারি গ্রামের মৃত মোকছেদ গাজীর ছেলে এবং কালীগঞ্জের নলতা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

ঝায়ামারি গ্রামের আব্দুর রশিদ জানান, রোববার রাত আটটার দিকে সোলেমান ও তনিসহ কয়েকজন শোভনালী বাজারে সাহেব আলীর দোকানে ক্যারামবোর্ড খেলছিলেন।

এ সময় একটি মোবাইল থেকে কল আসায় তড়িঘড়ি করে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। রাত প্রায় নয়টার দিকে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সোলেমানকে পাওয়া যায়নি।

একপর্যায়ে সোমবার ভোরে কৈখালী পানি ট্যাঙ্কি থেকে ১০০ হাত দূরে তার গলাকাটা লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

নিহতের স্ত্রী আয়েশা খাতুন জানান, তার স্বামী ছলেমান গাজী আশাশুনি উপজেলার বসুখালির বাসিন্দা ছিলেন। ১৯৯৮ সালে কালীগঞ্জের বাবুরাবাদে ভূমিহীন আন্দোলনের সময় থেকে তিনি ঝায়ামারিতে বাস করেন।

আব্দুর রশিদ আরও জানান, কয়েক বছর আগে দেবহাটা উপজেলার দেবীশহর সোসাইটির ঝায়ামারির বিলের ১০৭ বিঘা জমি মনোরঞ্জন মুখার্জীর কাছ থেকে কেনেন বসুখালির আহমেদ আলী, ছলেমান, আব্দুর রশিদ, ফারুক হোসেনসহ কয়েকজন।

এ নিয়ে ঝায়ামারির এলাকার ওহাব আলী পেয়াদার সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। দু’বছর আগে দেওয়ানি মামলায় হেরে যাওয়ার পর ওহাব আলী পেয়াদা স্বামী সোলেমনকে হত্যারও হুমকি দেন কয়েকবার। এর জেরেই তার স্বামীকে হত্যা করা হতে পারে বলে আয়েশা খাতুন ধারণা করছেন।

আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীদুল ইসলাম শাহীন জানান, লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। হত্যার মোটিভ জানার চেষ্টা চলছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত