সিলেটটুডে ডেস্ক

১২ জানুয়ারি, ২০২০ ২১:৩১

মুজিব বর্ষে ১৫ হাজার চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ

মুজিব বর্ষে চিকিৎসক ও নার্স মিলিয়ে ১৫ হাজার নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। শনিবার রাজধানীর একটি অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এই তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, মুজিব বর্ষে পাঁচ হাজার চিকিৎসক ও ১০ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হবে। এছাড়াও দেশের আটটি বিভাগে আটটি ক্যান্সার ও কিডনি হাসপাতাল স্থাপন করা হবে বলেও জানান তিনি।

শনিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইউরোলজিক্যাল সার্জনস (বাউস) আয়োজিত ১৪তম আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা জানান।

বর্তমানে বাংলাদেশে এক কোটিরও বেশি লোক কিডনি রোগে আক্রান্ত জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল (এমডিজি) অর্জন করেছি, সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলও (এসডিজি) অর্জন করতে পারবো। এখন আমরা অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় আছি। খুব শিগগিরই প্রতিটি জেলা হাসপাতালে ১০ বেডের ডায়ালাইসিস সেন্টার বা কিডনি বিভাগ চালু করছি। এতে আমাদের দেশের দরিদ্র মানুষেরা সঠিক চিকিৎসা পাবে। তাদের চিকিৎসা করাতে আর দেশের বাইরে যেতে হবে না।

তিনি আরও বলেন, আমরা কিডনি প্রতিস্থাপনের আইন সংসদ থেকে পাস করিয়েছি। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়িত হয়নি। তাই ইউরোলজিস্টদের অনুরোধ করবো, আপনারা এদিকে বেশি জোর দেন। এতে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আরও উন্নত করা সম্ভব হবে। তাছাড়া আপনারা বিদেশি বন্ধুদের সহায়তা নিতে পারেন। এক্ষেত্রে আমরাও সহায়তা করবো।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে ইউরোলজির (কিডনি রোগ) চিকিৎসায় রোবটের মাধ্যমে সার্জারি এখন সময়ের দাবি। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরও অনেক আধুনিক প্রযুক্তির সংযুক্তি বর্তমান প্রেক্ষাপট কিংবা কিডনি রোগে আক্রান্তের সংখ্যা অনুসারে প্রয়োজন বলেও জানান দেশের ইউরোলজিস্টরা।

ওই আয়োজন থেকে দেশ ও দেশের বাইরের প্রখ্যাত ইউরোলজিস্টদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম। বাউসের সভাপতি অধ্যাপক ডা. কাজী রফিকুল আবেদীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. মো. এহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজসহ অন্যান্যরা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত